ঢাকা-চট্টগ্রামে কমতে পারে গ্যাসের চাপ : পেট্রোবাংলা
ভারতের দিকে অবস্থান করা সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এলএনজি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, বাখরাবাদ গ্যাস ও তিতাস গ্যাস এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে। আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পেট্রোবাংলা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এলএনজির সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় চট্টগ্রাম, বাখরাবাদ গ্যাস ও তিতাস গ্যাস এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। সোমবার সন্ধ্যা-নাগাদ গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে পেট্রোবাংলা।
সামিটের এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় এমনিতেই দেশে গ্যাস সংকট দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে দেশে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতেরও সংকট দেখা দেয়। এখন তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসায় বিদ্যুৎ সংকট কমে এলেও গ্যাস সংকট এখনও বিদ্যমান।
দেশে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এবং সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে এলএনজি সরবরাহ করা হয়। এরমধ্যে এক্সিলারেট তাদের এলএনজি সরবরাহ করতে পারলেও সামিট এখনও পুরোপুরি শুরু করতে পারেনি। যদিও গত ১৬ সেপ্টেম্বর টার্মিনাল ও পাইপলাইনের মেরামতের কাজ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এলএনজি সরবরাহের ঘোষণা দেয় সামিট। প্রাথমিকভাবে সে সময় ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তাদের টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছিল। তখন পেট্রোবাংলা জানিয়েছিল, নতুন কার্গো না এলে তাদের সরবরাহ বাড়বে না। ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন কার্গো আসার কথা রয়েছে। সে হিসাবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে সামিটের এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।