সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপন করতে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া ও সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন সেনানিবাহিনীর ২১ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহার আল কবির খোকন। এ সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজব থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি সার্বজনীন মন্দির, জেলা সদরের শ্রী শ্রী গণেশ পাগল সেবাশ্রম, কোটালীপাড়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালী মন্দির এবং কোটালীপাড়া শ্রী শ্রী গণেশ পাগল কেন্দ্রীয় সেবাশ্রম পরিদর্শন করেন এই সেনা কর্মকর্তা।

এই সেনা কর্মকর্তা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের নির্দেশক্রমে, গোপালগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১০ ইস্ট বেংগল ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় গত ২১ জুলাই থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে এই ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে কিছু মহল দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। জেলার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষের জানমাল এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় এই সেনা কর্মকর্তা দুর্গাপূজা উপলক্ষে সমাজের সব স্তরের মানুষকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গুজব থেকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করেন। সবাইকে চলমান দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান নিশ্চিন্তে ও সচ্ছন্দে উদযাপন করার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি। 

এ সময় ১০ ইবির অধিনায়ক ও গোপালগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম, মেজর মো. আকিকুর রহমান রুশাদ ও কর্তব্যরত অন্য সেনা কর্মকর্তারাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।