রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েত
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় এই গণজমায়েত শুরু হয়।
গতকাল সোমবার দিনগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্টার পোস্ট করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ক্যাপশনে লেখেন, ‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার গনজমায়েত।’
সম্প্রতি মানবজমিনের প্রকাশনা জনতার চোখের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ‘নেপথ্যের গল্প’তে প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। এরপর গতকাল রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারণ, গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সেই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’ বিটিভিসহ দেশের ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমগুলোতে সেই ভাষণ সম্প্রচার হয়, যা এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বরাতে প্রকাশিত এমন বক্তব্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। সে সময় তারা বলেন, এ বিষয়ে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, রাষ্ট্রপতি যে দ্বিমুখী বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট যে তিনি শেখ হাসিনাকে বৈধতা দিতে চান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা অফিসিয়ালি দ্রুতই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব। আজ বিকেলেই দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাস এবং শহরে বিক্ষোভ হবে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি আসবে।
এরপর রাতে গণজমায়েতের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।