পদ্মায় নিখোঁজ আরেক পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
৫২ ঘণ্টা পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হওয়া আরেক সহকারী উপপরিদর্শক (এ এস আই) মুকুলের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাবনার সুজানগর থানার মোহনপুর এলাকার নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হামলার স্থান থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে পাবনার সুজানগর থানার মোহনপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে এ এস আই মুকুলের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় জেলেরা। খবর দিলে নৌ পুলিশ তার মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি নাজিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ কুমারখালীতে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শিলাইদহ ঘাট এলাকার পদ্মা নদী থেকে এ এস আই সদরুল আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত সোমবার ভোর রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে আসামি ধরতে গিয়েছিলেন পুলিশের একটি দল। সেখানে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এসময় নৌকায় থাকা এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিলেন। এই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের উপপিরদর্শক (এস আই) নজরুল ইসলাম ও কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্যপ ছানোয়ার হোসেন।