আগে সংস্কার এরপর নির্বাচন : রাশেদ খান
‘আগে সংস্কার, তারপরে নির্বাচন। গণধিকার পরিষদ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন গণধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঝিনাইদহ শহরে একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে রাশেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারণ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যেভাবে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ, রাজনীতি ফ্যাসিজিজম তৈরি করেছে তা খুব সহজে অল্প সময়ের মধ্যে দূর করা সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার তৈরি ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থা এখনও রয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে পুলিশের মধ্যে দলীয়করণ, প্রশাসনের মধ্যে দলীয় করণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাঁর প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। তাদের নানান ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
রাশেদ আরও বলেন, অভিযোগ আসছে অর্থের বিনিময়ে মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং কাজ করতে পারি তাহলে সব সমস্যা দূর করা সম্ভব এবং এই সরকারের পক্ষে রাষ্ট্র সংস্কার করা সম্ভব।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ বলেন, আমরা সরকারের প্রতি দাবি রেখেছি একটি রোড ম্যাপ জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। আমরা এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারে পর্যাপ্ত সময় দিতে চাই। সরকারে উপদেষ্টাদের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। আগে রাষ্ট্র সংস্কার এরপর নির্বাচন। রাষ্ট্র সংস্কার না হলে জাতীয় ঐক্য, সংহতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। যে লাউ সেই কদু, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ঢাকা উত্তরের সহসভাপতি রাকিবুল হাসান, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রাজন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিশন হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি মো. আল মামুনসহ অনেকে।
সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে ৬ জেলার নেতাদের দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গ টেনে রাশেদ বলেন, ‘বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে, চিঠির বিষয়ে একমাত্র তারাই বলতে পারবে। চিঠির বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছিল না। আগামীতে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হলে আমাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’