ওমর খান হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ও আলেপ উদ্দিন কারাগারে
রাজধানীর শনির আখড়ায় জোবায়ের ওমর খানের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় রাঙ্গামাটি ট্রেনিং সেন্টারের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমি এই আদেশ দেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল সরদার কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ১৩ নভেম্বর রাতে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে আলেপ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল ডিবি পুলিশ। এর পরের দিন তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। অপরদিকে গত ১৩ নভেম্বর মহিউদ্দিন ফারুকীর দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই দিন ভোরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী (বেতবুনিয়া) এলাকা মহিউদ্দিন ফারুকীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরে তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়।
এজাহার থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়া এলাকায় জোবায়ের ওমর খান গুলিবিদ্ধ হন। স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ট) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলা করেন জোবায়েরের ভাই।