শপথের পরে নির্বাচন কমিশনে নতুন সিইসিসহ কমিশনাররা
শপথ নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অন্য চার নির্বাচন কমিশনারও প্রথমবারের মতো ইসিতে গিয়েছেন। এ সময় সিইসিসহ কমিশনারদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, পৌনে তিনটার সময় সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা নির্বাচন ভবনে এসে পৌঁছান। তার আগে থেকে নির্বাচন কমিশনে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ভবনের প্রবেশদ্বারে অপেক্ষায় ছিলেন। এরপর সিইসিসহ অন্য কমিশনারদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনাররা দুপুর দেড়টায় শপথ নেন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নতুন ইসিকে শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে নিয়োগ দেন। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আরও চার কমিশনারকেও নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্য দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম-সচিব তহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নতুন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন সরকারি চাকরি থেক ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের দাবি উঠে। এরপর সংস্কারের প্রতিশ্রুতির মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক চলে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের একমাস পর অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
হাবিবুল আউয়াল কমিশনের আড়াই বছর
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ত্রয়োদশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক আমলা হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন এই কমিশন। তাদের পরিচালনায় ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। এছাড়া এই আড়াই বছরে দেড় সহস্রাধিক পদে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন-উপনির্বাচন করেছেন তারা। ২০২২ সালে নতুন কমিশন গঠনের আগে আকস্মিকভাবেই আইন প্রণয়ন হয়, আর সেই আইনের অধীনে প্রথম নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেন কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ জন।
নির্বাচন কমিশন শপথ নেওয়ার পর যেদিন প্রথম চেয়ারে বসেন, সেদিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তাদের দায়িত্বকাল। গত ৫ সেপ্টেম্বর কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিদায় নিলে তৃতীয়বারের মতো পুরো কমিশন ফাঁকা হয়ে পড়ে।