ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়োগ করা হবে। ডিএমপি এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ৭০০ শিক্ষার্থী কাজ করছে। ঠিক তেমনিভাবে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, এয়ারফোর্স, নৌবাহিনী, বিজিবি, আনসারের মধ্যে যারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন তাদের নিয়ে একটি কমিউনিটি পুলিশিং করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০০ জনকে এ কাজে নিযুক্ত করা হতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে বয়সের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হবে।
উপদেষ্টা আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিষয়টি উচ্চ আদালতের এখতিয়ারাধীন। উচ্চ আদালতের আদেশকে আমরা বাস্তবায়ন করছি। উচ্চ আদালত থেকে এই বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা আসার কথা। নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে একটি ভালো সিদ্ধান্ত তথা নির্দেশনা আসবে মর্মে আমরা আশা করছি। সেই নির্দেশনা মোতাবেক অটোরিকশা নিয়ে চলমান সমস্যার নিরসন ঘটবে।
ভুয়া ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভুয়া ও মিথ্যা মামলা যেন না হয়, সে বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ধরনের মিথ্যা মামলায় যারা আসামি হয়েছেন তারা যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেজন্য আমরা একটি কমিটি করে দিচ্ছি। কমিটির একটি প্রস্তাব আমরা করেছি, তবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির একজন সদস্য থাকবেন। পুলিশের পাশাপাশি কমিটি নিরূপণ করবে কে আসলে দোষী। কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেটিও কমিটি দেখবে।
সভায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়, সড়কে অটোরিকশা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা, বিজয় দিবস উদযাপন, দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার, ভুয়া মামলার মাধ্যমে হয়রানি বন্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয়, মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ-সহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
স্বরাষ্ট উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।