বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি : প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি।’ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ২০২৪ সালে সমিতির সদস্য হওয়া নবীন আইনজীবীদের জন্য আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হলে এই বিভাগের প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে জুডিসিয়াল নিয়োগ কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
কর্মশালার মূল অধিবেশন শুরুর আগে চট্টগ্রামে একই ব্যাচের আইনজীবী নিহত আলিফ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে আলিফ হত্যাসহ ৫ আগস্টকে ঘিরে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
প্রধান বিচারপতি নবীন আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নৈতিকতা হচ্ছে আইন পেশার মূলভিত্তি। এই নৈতিকতা প্রতিটি আইনজীবীর চরিত্র ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে সংজ্ঞায়িত করে।’
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, নতুন আইনজীবীদের সব সময় সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ একজন কোর্ট অফিসার হিসেবে আপনার কাজগুলো কেবল মামলার ফলাফলই ঠিক করে না, বরং দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাসকেও প্রভাবিত করবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বার ও বেঞ্চকে এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আইনের পথে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে। তবে সাহস, সততা এবং ন্যায়বিচারের আদর্শের প্রতি বিশ্বাস রেখে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই কেবল আইনের শাসন সমাজের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।’