রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র দিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার। আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নিজ কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। 

পুলিশ সুপার জানান, আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বিয়ের জন্য চাপ দেন প্রেমিকা শাহিদা ইসলাম। এরপর তাঁকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এনে গত শনিবার সকালে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেন কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারি থানা থেকে লুণ্ঠিত বলে জানিয়েছেন তিনি। 

পুলিশ সুপার জানান, প্রেমিকা শাহিদা ইসলাম রাফাকে হত্যার পর মনপুরা দ্বীপে পালাতে গেলে ভোলার ইলিশায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে গতকাল সোমবার ভোরে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয় বলেও জানান তিনি।

এদিকে আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচ থেকে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত শনিবার রাতে নিহত সাহিদা ইসলাম রাফার মা জরিনা বেগম শ্রীনগর থানায় কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা করেন। 

নিহত শাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের মৃত মো. মোতালেবের মেয়ে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন।