বেনাপোল দিয়ে আমদানি রপ্তানি ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
ইসকননেতা চিন্ময়ের মুক্তিসহ নানা টানাপড়েনের মধ্যেও বেনাপোলে বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী পারাপার স্বভাবিক রয়েছে।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক হাজার ৮০০ যাত্রী পারাপার হয়েছেন।
গত রোববার ২ ডিসেম্বর দুপুরে বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধের কঠোর হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির নেতারা। ওই সমাবেশে সভাপত্বি করেন বানগাঁও মহাকুমা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। সমাবেশে বক্তব্য দেন পশ্চিম বঙ্গরাজ্যের বিজেপির সভাপতি সুভেন্দ অধিকারি, বনগাঁও লোকসভা আসনের সংসদ সদস্য সান্তনু ঠাকুর, বিধায়ক অশোক কৃত্বনি ও বিধায়ক স্বপন মজুমদার।
সমাবেশে বিজেপি নেতাদের বেনাপোল বন্দর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিতে সারা দেশে ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভারত থেকে আসা যাত্রী শাহ জালাল বলেন, আতঙ্কে আছেন অনেক বাংলাদেশি, চেকপোস্ট বন্ধের খবর শুনে দেশে ফিরছেন—এটি সম্পূর্ণ গুজব। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওপারে ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশেদুজ্জামান সজিব নাজির বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪১৮ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১৮৯ ট্রাক মালামাল।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ জানান, দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতে যাওয়ার চেয়ে ফেরত আসার সংখ্যা একটু বেশি। যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে ওপারে কোনো সমস্যা হয়নি তাদের। এক শ্রেণির লোক গুজব ছড়াচ্ছে পাসপোর্টধারী যাত্রী নিয়ে। আজও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক হাজার ৮০০ পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেছে।