শেখ হাসিনার চোখ ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল : সারজিস
শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তাঁর বাপের বাড়ি টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা-শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সারজিস আলম।
উপজেলার সীমান্তবর্তী কুরমা চা-বাগান মাঠে জাতীয় নাগরিক কমিটি এই চা-শ্রমিক সমাবেশ আয়োজন করে।
সারজিস আলম ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে বৈষম্যমূলক চুক্তি করেছিলেন। এখন তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। ভারত আবারও ব্যবসার জন্য তাদের জায়গা থেকে কথা বলছে। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে কেউ অন্যায় করলে আমরা মেনে নেব না।
সারজিস চা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আগামীতে কেউ যদি সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি করে আপনাদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করবেন। মনে রাখবেন, যারা অন্যায় করের তারা সংখ্যায় কম। আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে শেখ হাসিনার মতো তারা পালিয়ে যাবে।
সারজিস আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ি টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্য কোথাও তার চোখ পড়েনি। চা শিল্পেও শেখ পরিবারে ভাগ বসিয়েছে। চা বাগানে কোনো মদের পাট্টা থাকা উচিত নয়, সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে।
চা-শ্রমিকদের অবহেলিত রেখে এ শিল্পের উন্নয়ন করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, চা-শ্রমিকদের মুজুরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি চা শিল্পকে রক্ষায় ন্যাশনাল টি কোম্পানিসহ (এনটিসি) বন্ধ সব চা-বাগান অবিলম্বে চালু করতে হবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু-ধলাই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরির সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক আপন বোনার্জি রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলার যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটি যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জেনি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খান, চা-শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা-শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা প্রমুখ।