একশপের সঙ্গে ধামাকা অনলাইন শপিংয়ের কার্যক্রম শুরু
সহজে ও দ্রুত সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এটুআই-এর উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম রুরাল অ্যাসিস্টেড ই-কামার্স প্ল্যাটফর্ম একশপ-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল ই-কমার্স ধামাকা অনলাইন শপিং।
এখন থেকে ধামাকার প্ল্যাটফর্মে একশপের উদ্যোক্তাদের পণ্য পাওয়া যাবে, একইসঙ্গে একশপের দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা এজেন্টরা ধামাকা শপিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও সুলভ মূল্যে কেনাকাটা করতে পারবে।
সোমবার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেন ধামাকা অনলাইন শপিংয়ের চিফ বিজনেস অফিসার দিবাকর দে শুভ এবং একশপের টিম লিড মো. রেজওয়ানুল হক জামি।
এ সময় এটুআইয়ের ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট শাহরিয়ার হাসান জিসান, প্রোগ্রাম অ্যাসিসটেন্ট শায়েলা কাদের এবং ধামাকা শপিংয়ের ডিরেক্টর (অপারেশন) সাফওয়ান আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমার্শিয়াল) ইব্রাহিম স্বপন, সিনিয়র ম্যানেজার (করপোরেট) কে এম ফেরদৌস ইলিয়াস এবং বিজনেস কো-অর্ডিনেটর সৌরভ সাহা উপস্থিত ছিলেন।
ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. জসিম উদ্দিন চিশতি বলেন, জনগণের দোড়গোড়ায় ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দিতে এবং নতুন উদ্যোক্তা উৎসাহিত করাই একশপ ও ধামাকা অনলাইন শপিংয়ের মূল উদ্দেশ্য। নতুন উদ্যোক্তা এবং গ্রাহকদের ই-কমার্সের ওপর আস্থা বাড়ানোর জন্য দেশব্যাপী ধামাকা শপিং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
জসিম উদ্দিন চিশতি আরও বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ডেডিকেটেড গ্রামীণ ই-কমার্স নেটওয়ার্ক একশপ দেশের গন্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কে পৌঁছে গেছে। এই সমঝোতা, ধামাকা শপিংয়ের গ্রাহক এসব দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছেও পৌঁছে যাবে একশপের মাধ্যমে।
একশপের মো. রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, এই সমঝোতার ফলে দেশব্যাপী একশপের প্রায় ছয় হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা ধামাকা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সেবা পেতে পারবে।
জামি আরও বলেন, একশপের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রান্তিক ব্যাবসায়ীরা ধামাকা শপিং প্লাটফর্মে তাঁদের পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন। ই-কামার্স কোম্পানি, লজিস্টিক কোম্পানি, পোস্ট অফিস, পেমেন্ট সুবিধা, ইউডিসি নেটওয়ার্কের মধ্যে সমন্বয় করে তৈরি হয়েছে একশপ প্ল্যাটফর্ম। এতে একদিকে যেমন প্রান্তিক উৎপাদনকারীর পণ্য প্রায় ২৫ লাখ ই-কমার্স গ্রাহকের কাছে পৌঁছানের সুযোগ হবে, তেমনি শহরের মানুষও ঘরে বসে গ্রামের পণ্য কিনতে পারবেন সরাসরি।