ওয়ালটনের ওয়াশিং মেশিনের চাহিদা বাড়ছে
করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। গবেষণা বলছে, করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে নিত্য ব্যবহার্য পরিধেয় কাপড়ও জীবাণুমুক্ত রাখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিং মেশিন হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওয়ালটন জানিয়েছে, বায়োমেকানক্যিাল প্যারামিটার অনুযায়ী, সাধারণ উপায়ে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পেশিজনিত সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এলোমেলো বসার কারণে পেশিগুলোর ওপরের কাঠামোতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি হয়। কাপড় ধোয়ার সময় সামনের দিকে বিপজ্জনকভাবে ঝুঁকে কাজ করা, শরীর বাঁকানো, হাঁটু গেড়ে বসা, উবু হয়ে বসার কারণে পিঠ ও ঘাড় ব্যথা, মাংসপেশির খিঁচুনি, মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়া, ডিস্ক স্থানচ্যুত হওয়া, কাঁধ ব্যথা, কনুই ব্যথা, কবজি ব্যথা এবং হাঁটু ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
এ ছাড়া প্রচলিত পদ্ধতিতে কাপড় ধোয়ায় ত্বকে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন চুলকানি, লাল র্যাশ, ফোস্কা, শুষ্ক ত্বক, ত্বকে জ্বালাপোড়া, খসখসে এবং রুক্ষ ত্বক ইত্যাদি। এ ছাড়া নতুন যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। এসব কারণেই কাপড় ধোয়ায় দিন দিন ওয়াশিং মেশিনের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে।
চাহিদা বাড়ছে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনের
বৈশ্বিক এ মহামারিতে ক্রেতাদের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ওয়াশিং মেশিনে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। সর্বনিম্ন মাত্র ৯৯৯ টাকা ডাউনপেমেন্টে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন। আছে ফ্রি ইন্সটলেশন, জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইকুয়্যাল মান্থলি ইন্সটলমেন্ট (ইএমআই), তিন মাসের রিপ্লেসমেন্টসহ নানা সুবিধা। যাতে এই সংকটের সময় সহজেই ক্রেতারা ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করতে পারেন তাই আকর্ষণীয় ডাউনপেমেন্ট এবং মাসিক কিস্তি সুবিধা রাখা হয়েছে। এসব কারণে চলমান মহামারিতে বাজারে চাহিদা বাড়ছে ওয়ালটনের ওয়াশিং মেশিনের।
ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন কিনে পেতে পারেন লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার সুবিধা
বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে সারা দেশে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ১১’ চালাচ্ছে ওয়ালটন। আসন্ন ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ‘ওয়ালটন মেগা ঈদ ফেস্টিভ্যাল’। ক্যাম্পেইনের আওতায় ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন কিনে পেতে পারেন লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও নিশ্চিত ছাড়। এ ছাড়া রয়েছে যেকোনো ব্র্যান্ডের সচল অথবা অচল ওয়াশিং মেশিন বদলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের নতুন ওয়াশিং মেশিন এক্সচেঞ্জ করার সুযোগ।
আকর্ষণীয় ডাউনপেমেন্ট সুবিধায় ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন
ছ৭০ মডেলের ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন কেনা যাবে মাত্র এক হাজার ৬৬৫ টাকা মাসিক কিস্তিতে। এ ছাড়া ঞডও৮০ মডেলের ওয়াশিং মেশিন কেনা যাচ্ছে এক হাজার ৯০৫ টাকা কিস্তিতে। আর ঞছচ১২৫ এবং ঞছগ১৫০ মডেলের ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে এক হাজার ৮১৫ এবং দুই হাজার ৬১৯ টাকা কিস্তিতে। পাশাপাশি অঋঞ৮০ মডেলের ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যাচ্ছে দুই হাজার ৬৭৮ টাকা, অঋগ৯০ মডেল দুই হাজার ৮৫৭ টাকা এবং অঋঈ৯০ মডেল দুই হাজার ১২৮ টাকা মাসিক কিস্তিতে। সব মডেলের ওয়াশিং মেশিন কেনায় ওয়ালটন দিচ্ছে তিন মাসের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। থাকছে সর্বোচ্চ ১২ বছরের মোটর ওয়ারেন্টি সুবিধাও।
ক্রেডিট কার্ডে কেনা যাবে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন
নগদ মূল্যের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে এক বছর পর্যন্ত রয়েছে জিরো ইন্টারেস্ট সুবিধা। এ ক্ষেত্রে মোট ২৯টি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।
নিজেদের তৈরি ওয়াশিং মেশিন বাজারজাত করছে ওয়ালটন
ওয়াশিং মেশিনেও বিদেশ নির্ভরতা কমিয়েছে ওয়ালটন। গাজীপুরের নিজস্ব বিশাল কারখানায় বিশ্বমানের ওয়াশিং মেশিন উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এজন্য ওয়ালটনের রয়েছে শক্তিশালী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগ এবং অত্যাধুনিক টেস্টিং ল্যাব। ফলে আধুনিক ব্যস্ত সময়ে গৃহের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ যন্ত্রটির উচ্চমানের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত ওয়ালটন। বিশ্বমানের পণ্য তৈরি ও সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন।
ওয়াশিং মেশিন রপ্তানি করছে ওয়ালটন
দেশের বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনের চাহিদা। হচ্ছে রপ্তানিও। ভারত, নেপাল, ইয়েমেন এবং পূর্ব তিমুরসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ওয়াশিং মেশিন রপ্তানি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনের ধারণক্ষমতা ও দাম
বর্তমানে বাজারে রয়েছে ১৯টি মডেলের সেমি অটোমেটিক এবং অটোমেটিক টপ ও ফ্রন্ট লোডিং ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন। ছয় থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ধারণক্ষমতার এসব ওয়াশিং মেশিনের মূল্য আট হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৫৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এতে অত্যাধুনিক সব ফিচার রয়েছে। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তম সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার।