ওয়ালটনের ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফ্রিজ ফ্রি’
সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৯। ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফ্রিজ ফ্রি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিংবা ওয়াশিং মেশিন ক্রেতাদের জন্য রয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ফ্রি ফ্রিজ পাওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে ২০০ জনেরও বেশি ক্রেতা ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে একটি করে ফ্রিজ ফ্রি পেয়েছেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ওই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল ও বারকোডসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ফ্রিজ এবং ওয়াশিং মেশিনে ফ্রি ফ্রিজের সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
এদিকে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্য বাজারজাতের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী গ্লোবাল মডেলের ফ্রিজ, টিভি, এসি ইত্যাদি তৈরি করে দিচ্ছে ওয়ালটন, যা ওইএম-এর (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স) আওতায় রপ্তানি করা হচ্ছে। ফলে করোনাভাইরাস মহামারির দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও ইউরোপের জার্মানি, পোল্যান্ড, গ্রিসসহ তুরস্কের মতো উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। ইতোমধ্যে করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে ভারতে ওইএম ফ্রিজের প্রথম শিপমেন্ট পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
গত ৩১ জানুয়ারি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হেডকোয়ার্টারে ভারতে ফ্রিজ রপ্তানির শিপমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী। সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ই এম ইয়াং, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, নির্বাহী পরিচালক ও ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ অপারেটিং অফিসার ইউসুফ আলী, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আব্দুর রউফ, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর নাজমুল হোসাইন ইভান প্রমুখ।
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ফ্রি ফ্রিজ পাওয়া দুই শতাধিক ক্রেতার একজন ঢাকার বংশালের সুমন হোসেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কর্মরত সুমন জানান, তিনি গত ১৭ জানুয়ারি আগা সাদেক রোডের ইমরান ইলেকট্রনিক্স থেকে ৩২৮ লিটারের একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেছিলেন। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে আরেকটি ফ্রিজ ফ্রি পাওয়ার বার্তা যায় তাঁর মোবাইলে। ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রি পাওয়ার সংবাদে মহাখুশি সুমনের আট সদস্যের পরিবার। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের তাজবাহ উদ্দিন সৈকত ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে আরেকটি ফ্রি পেয়েছেন।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, চলতি বছর ফ্রিজের ডিজাইন, কালার, মডেল ও ফিচারে বৈচিত্র্য আনার ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন ফ্রিজে সংযোজন করা হচ্ছে স্মার্ট ফিচার। ডিজাইনেও থাকছে বৈচিত্র্য। এরই মধ্যে বাজারে ছাড়া হয়েছে সাইড বাই সাইড ডোরের বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের কয়েকটি নতুন মডেল। এ বছর অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ সাইড বাই সাইড ডোরের স্মার্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হবে। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই এই মডেলের ফ্রিজ উৎপাদন করছে।
স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৮০ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। আরো রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআইয়ের ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লেসমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চলে। এ ছাড়া ইনভার্টার প্রযুক্তির ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড গ্লাস ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর সব শ্রেণির গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।