বিজয়ের মাসজুড়ে লার্নেরার ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
বিজয় শব্দটি যদিও ছোটো, কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকে বিশদ লম্বা ইতিহাস। ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস, হাসি-কান্নার ইতিহাস, আনন্দ-বেদনার ইতিহাস, অর্জন ও বর্জনের ইতিহাস। আর জয়-পরাজয়ের গল্প। পৃথিবীর ইতিহাস এমনই ঘুরতে থাকে জয় ও পরাজয় এবং স্বাধীনতা ও পরাধীনতার মধ্য দিয়ে। দুই দেশ, দুই জনপদ বা দুই জনগোষ্ঠী। যুদ্ধ, ধ্বংস, হত্যা ও লুণ্ঠনের মধ্যে একদিকে বিজয়ীর নির্মম উল্লাস চলে, অন্যদিকে পরাজিতের বেদনা-আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। বাংলার ইতিহাসে ১৬ ডিসেম্বর এমন একটি দিন, যা স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল।ইতিহাসের ঐতিহাসিক এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই লার্নেরা পরিবার মাসজুড়ে আয়োজন করছে " GHSS Foundation বিজয় গাঁথা "। ইভেন্টের মাধ্যমে বর্তমান তরুণ সমাজের কাছে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সহজে পৌঁছে দেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীরা পাবে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ ও প্রকাশের এক দারুণ সুযোগ। কুইজ, চিত্রাঙ্কন, আলোকচিত্র , রচনা লিখন, পাবলিক স্পিকিং, মুক্তিযুদ্ধ কথন অর্থাৎ ছয়টি বিভাগেই সম্পূর্ণ ফ্রি রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে যেকোনো বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবে ইভেন্টে। এবং প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিটি বিভাগের সেরা চারজন করে মোট ২৪ জন বিজয়ী পাবে আকর্ষণীয় পুরষ্কার। ইভেন্টের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি, 'GHSS Foundation বিজয় গাঁথা' ইভেন্ট এরই মধ্যে সাত লাখ মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং আট হাজার শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে,যা দিন দিন বাড়ছেই। এতে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। আয়োজকেরা বলছে,আমাদের প্রথম ইভেন্টে এত ব্যপক সাড়া পাবো, আমরা ভাবিনি। আমরা সবার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমাদের ইভেন্টে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য।
অনলাইন এই ইভেন্টের আয়োজক হিসেবে রয়েছে দেশের অন্যতম এডুকেশনাল প্লাটফর্ম লার্নেরা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনেই অনলাইন ভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু। ‘শিক্ষা বিনোদনের কাঙ্ক্ষিত সমন্বয়' স্লোগানকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে ছয় স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণীর হাত ধরে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি। ইভেন্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে গোলজার হোসেন শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন। যারা ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিবছর টাঙ্গাইল জেলাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদান করে আসছে। এ বছর ফাউন্ডেশনটি তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইন বৃত্তি পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে,যাতে করে দেশের ৬৪ জেলার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে।
বছরের অন্যতম এ ইভেন্টে গিফট পার্টনার হিসেবে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বই বিক্রেতা রকমারি.কম , অনলাইন মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি , ইউথ পার্টনার হিসেবে রয়েছে সুহাস , ক্লাব পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা ফটোগ্রাফি ক্লাব , ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ফটোগ্রাফি ক্লাব, শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ ফটোগ্রাফি ক্লাব, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ডিবেটিং ক্লাব, বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা কুইজ ক্লাব, রকমারি বুক ক্লাব, ফটোগ্রাফি পার্টনার হিসেবে রয়েছে দেশের ২৫০ এর অধিক কলেজ ফটোগ্রাফি ক্লাব নিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ কলেজ ফটোগ্রাফি এসোসিয়েশন , ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে থাকছে দেশের সবচেয়ে বড় ম্যাগাজিন কিশোর আলো , আর্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা ক্যানভাস অব আর্ট
ইভেন্টে অংশগ্রহনের জন্য - https://fb.me/e/1HQUBiz0P