শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে মূলধন বৃদ্ধি ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে পুঁজিবাজারে চার দিনে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল সাত লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। শেষ দিনে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, টানা দুই সপ্তাহ বাজারে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বেড়েছে। আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি) পাঁচ কার্যদিবসে কেনাবেচা হয়েছিল। প্রথম ব্যবসায়িক দিনে সূচকের পতন দেখা গিয়েছিল, তারপরে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার টানা চারটি ব্যবসায়িক দিনে সূচক বেড়েছে।
এই সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টির।
আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১৪টির দাম বেড়েছে, ৬৮টির দরপতন হয়েছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টির।
আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম কমানো কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে। তবে, বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে যাওয়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে বিদায়ী সপ্তাহে ছয় হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ছয় পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৫০ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে; শতাংশ হিসাবে এটি ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৪ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৬১টির শেয়ার দর বেড়েছে, ৮৩টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টি কোম্পানির।