শ্রমিক ধর্মঘটে ছয় দিন ধরে অচলাবস্থা ভোমরা বন্দরে
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে গত ছয় দিন ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। ভারতীয় ট্রাক থেকে আমদানি পণ্য খালাস না করায় বন্দরে গাড়ির জট দেখা দিয়েছে। সহস্রাধিক ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় পচনশীল পণ্য নষ্ট হতে চলেছে।
এদিকে, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকার দৈনিক ১২ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানায়, তারা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের জন্য লোড-আনলোড বিল বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আগেই পরিশোধ করে থাকে। এ ছাড়া শ্রমিকদের অতিরিক্ত বকশিসও দিয়ে থাকে। গত ১ এপ্রিল বন্দর কর্তৃপক্ষ এক আদেশে শ্রমিকদের ডাবল বিল দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে আমদানিকারকরা অসম্মতি জানায়।
আমদানি-রপ্তানিকারকরা আরও জানায়, দেশের অন্য বন্দরে ট্রাকপ্রতি পণ্য আনলোডিং-লোডিংয়ে যে খরচ হয় তার দ্বিগুণ বহন করা আমাদের জন্য কঠিন। এ কারণে আমরা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। অপরদিকে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরাও ধর্মঘটে নেমেছে গত ১ এপ্রিল থেকে।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল তাঁর সম্মেলন কক্ষে উভয়পক্ষকে নিয়ে এক বৈঠকে বসেছিলেন।
বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে ভোমরা বন্দর সিঅ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে প্রাথমিক সমাধান হয়েছে। তবে কবে থেকে বন্দর সচল হবে তা পরে জানা যাবে।’
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে পণ্যবাহী বাংলাদেশমুখী বহু ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে।