আর্থিক খাতের দুরবস্থা নিয়ে চিন্তিত সিপিডি
চলতি অর্থবছরের ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা, রেমিটেন্সের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এবং রাজস্ব আহরণ সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সিপিডি বলছে, রপ্তানি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি সরকারের জন্য ইতিবাচক। তবে অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় হচ্ছে আর্থিক খাতের দুরবস্থা।
চলতি অর্থবছরের অর্থনীতির পর্যালোচনা করে আজ শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি এসব কথা বলে।
সিপিডির মতে, গত অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু তারপরও চলতি অর্থবছরে রাজস্বতে যে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া এডিপি বাস্তবায়নে যে সমস্যা রয়েছে, তাতে সংশোধিত বাজেট আবার সংশোধন করতে হবে বলেও মনে করে সিপিডি।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে এখনো সুযোগ আছে, তেলের দাম কমানো উচিত। তেলের দামের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য বিধান করে নিচে নামানো উচিত, যার ফলে ব্যক্তি খাতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আমরা দেখছি সেটা আরেকটু সবল হবে। সেই সুবিধাটুকু আমাদের ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে।’
এ সময় দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেন, ‘জাতীয় সঞ্চয়পত্র, বিনিময় হার এবং তেলের দাম এই তিনটি বিষয় আমাদের রাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থাপনার মূল সুপারিশ। বিনিময় হারেরও পতন, রাজস্ব আদায় যদি কম হয় এবং সুদের হারও যদি বেড়ে যায় তারপরও বাংলাদেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থাকবে। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আর বাড়তি প্রবৃদ্ধিতে যেতে হলে আমাদের সংস্কারে যেতে হবে।’
বিদেশি ঋণ নিয়ে ভাবার চেয়ে, এই বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণের টাকা ব্যবহারের সক্ষমতা বাংলাদেশের এই মুহূর্তে আছে কি না, তাও ভাবতে হবে বলে মনে করে সিপিডি।