খাস জমির দলিল পেয়ে নবান্ন ভূমিহীনদের ঘরে
আন্দোলন থামেনি ভূমিহীনদের! তাই সফলতাও এলো। খাসজমি মিলল ২২ বছর পর। সেই জমিতে ফসল দেখে ভূমির বন্দোবস্ত পাওয়া মানুষের মনে এলো মহা আনন্দ। বলছি, পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলকুড়ালিয়ার ভূমিহীনদের কথা। এক হাজার ২০০ বিঘা খাসজমির স্থায়ী বন্দোবস্ত পাচ্ছে বিলপারের এক হাজার ছয় শতাধিক পরিবার। এরই মধ্যে পাঁচ শতাধিক পরিবারকে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে।
জমি পেয়ে হাসি যেন লেগেই থাকে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মুখে। ভূমির বন্দোবস্ত পাওয়া মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধীও রয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘এখন আর চিন্তা নেই। জমি পেয়েছি। বাবা-মা, ভাই-বোন নিয়ে এবার বাঁচতে পারব।’
কথা বলতে গিয়ে অনেকটা আপ্লুত হয়ে পড়েন পাবনার চাটমোহর উপজেলার ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আতাউর রহমান রানা। তিনি বলেন, ‘এত আনন্দিত যে, আমার যদি এখন মৃত্যুও হয় তা হলেও হাসিমুখে মরতে পারব।’
চাটমোহর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এরই মধ্যে পাঁচ শতাধিক পরিবারকে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। আরো ৩০০ পরিবারের জমি হস্তান্তরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে আছে। যেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করছি।’
২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিলকুড়ালিয়া মৌজার এক হাজার ২০০ বিঘা খাসজমির মধ্যে সাড়ে ৮০০ বিঘা জমি এক হাজার ৩১৩টি ভূমিহীন পরিবারের নামে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়। সেই তালিকা ধরেই জমির বন্দোবস্ত দেওয়া হচ্ছে।