জরিমানা প্রসঙ্গে বাংলালিংকের বক্তব্য
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হাতে শাস্তির খবরের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর বাংলালিংক। তাদের দাবি, তারা কোনো গ্রাহকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেনি।
গত ১৯ মার্চ বাংলালিংককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা আহম্মদ আলী মিনু নামের এক বাংলালিংক গ্রাহক গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি বাংলালিংক হেল্প লাইন ১১১-তে নম্বরে ফোন করে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো সেবা পাননি। উল্টো বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ তাঁর মুঠোফোন ব্যালেন্স থেকে ৫৪ দশমিক ৭৯ টাকা কেটে রাখে।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দফা শুনানি শেষে গত ১৯ মার্চ শুনানি শেষে বাংলালিংককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. আবদুল মজিদ। এ নিয়ে গতকাল এনটিভি অনলাইনে একটি খবর প্রকাশিত হয়।
এ ব্যাপারে বাংলালিংকের করপোরেট কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান আসিফ আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলালিংক সব সময় গ্রাহকদের সেরা মানের সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) কাছ থেকে আমরা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশনাটি পেয়েছি। বাংলালিংক ডিএনসিআরপির আদেশের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে। তবে আমরা বিশ্বাস করি যে, বাংলালিংক গ্রাহকসেবার মানের কোনো ব্যত্যয় ঘটায়নি এবং কোনো গ্রাহকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেনি।’