এবারও সেরা করদাতার সম্মাননা পেল ওয়ালটন
সর্বোচ্চ পরিমাণ কর পরিশোধ করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবারও সেরা করদাতা হিসেবে সম্মাননা দিয়েছে ওয়ালটনকে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ফার্ম ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ পরিমাণ কর প্রদানকারী মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশন প্রথম এবং ওয়ালটন প্লাজা দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
একই ক্যাটাগরিতে গত বছরও সর্বোচ্চ করদাতার পুরস্কার পেয়েছিল দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন জাতীয় রাজস্ব ভবনে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ৩৬টি ক্যাটাগরিতে ১৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড ও ৮৪টি পরিবারকে কর বাহাদুর উপাধি ও সম্মাননা দেয় এনআরবি। এর মধ্যে ফার্ম ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড ও সেরা করদাতার সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।
ট্যাক্স কার্ড ও সেরা করদাতার সম্মাননা সনদ পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা সবসময় যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করে সর্বোচ্চ কর পরিশোধ করছি। পরপর দুই বছর সেরা করদাতার সম্মাননা অর্জন করেছি। ওয়ালটনের এই স্বীকৃতি দেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উৎসাহিত করবে।’
আয়করের পাশাপাশি শ্রমিক কল্যাণ তহবিলেও দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন সর্বোচ্চ অর্থ দিয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ওয়ালটন সব পর্যায়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে। যার যথাযোগ্য সম্মান তাঁরা পেয়েছেন। এ জন্য তিনি এনবিআরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রযুক্তি খাতে যেমন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়ালটন, তেমনি দেশের উন্নয়নের অক্সিজেন হিসেবে বিবেচিত রাজস্ব যথাযথভাবে পরিশোধ করে সরকারকে উন্নয়নকাজে সহযোগিতা করছে।
ওয়ালটনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের বাজারে উচ্চ গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারজাত করায় দেশের সর্বত্র ওয়ালটন পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে। ফলে সরকারও অধিক হারে কর পাচ্ছে। ওয়ালটন একদিকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে, অন্যদিকে সরকারের কর আদায় নীতি যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশের রাজস্ব প্রবৃদ্ধি তথা দেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতিতেও ভূমিকা রাখছে।
কয়েক বছর আগেও ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনের মতো উচ্চ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্সের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো হতো আমদানি করা পণ্য দিয়ে। কিন্তু ওয়ালটন দেশেই বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস উৎপাদন শুরুর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এ খাতের চিত্র সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানটির। এমনি দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে এখন ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।