বাংলাদেশে এরিকসনের ২০ বছর
কৃষি, স্বাস্থ্য এবং আধুনিক জীবন-যাপনে বাংলাদেশ কেমন প্রযুক্তিময় হবে তারই বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখাল এরিকসন বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে এরিকসনের যাত্রার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত এই টেকনোলজিক্যাল প্রদর্শনীর নানা দিক বর্ণনা করেন এরিকসন-এর বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কার প্রধান টড এসটন।
এ সময় প্রযুক্তি খাতকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে টড এসটন বলেন, দৈনন্দিন জীবনে, ব্যবসায় এবং সমাজে বাস্তব জীবনের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের পথ উন্মোচন করে প্রযুক্তি আমূল পরিবর্তন এনেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোটা সিল্টার।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এরিকসন বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে নানামুখী অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এর মাধ্যমে ২০ বছরের অংশীদারিত্ব, প্রতিশ্রুতি এবং সম্মিলিত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ইতিহাস উন্মোচিত হয়েছে। সেই ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে এরিকসন এক উদ্ভাবনী প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। সূচনা করেছে অনেকগুলো মাইলফলক।
অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, এসব মাইলফলকের মধ্যে রয়েছে প্রথম জিএসএম নেটওয়ার্ক, প্রথমবারের মতো থ্রি জি এবং ফোর জি প্রযুক্তি। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে অন্যতম সেরা দুরালাপনী সেবাপ্রদায়ক হিসেবে উন্নীত হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এরিকসন ফাইভ জি প্রযুক্তির পথযাত্রী। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আইওটি এবং ক্লাউডের মতো তথ্যপ্রযুক্তিগত সমাধানের পথ সৃষ্টি করেছে।
টড এসটন আরো বলেন, নিষ্ঠার মাধ্যমে তাঁরা গ্রাহকদের জানিয়েছেন তাঁদের প্রতিশ্রুতির কথা। বিভিন্ন মাইলফলক অতিক্রম আর রূপরেখা তৈরির মাধ্যমে এরিকসন ভবিষ্যৎ পরিক্রমার পরিকল্পনা করছে।
এ সময় যে প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শিত হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রোবোটিক আর্ম, স্মার্ট পার্কিং এবং স্মার্ট ওয়াটার গ্রিড।
রোবোটিক আর্ম
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে রোবট শনাক্ত করতে পারবে হাতের ইশারা এবং এটাকে রূপান্তরিত করবে যান্ত্রিক সঞ্চারণে। আসন্ন ৫-জি প্রযুক্তি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে একটি তারবিহীন পৃথিবীর যেখানে এই রোবটিক নিযন্ত্রণের উপযোগী যোগাযোগের নিশ্চয়তা থাকবে।
স্মার্ট পার্কিং
এর মাধ্যমে জানা যাবে নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের জায়গায় গাড়ি পার্ক করার মতো যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা আছে কি না। এটা কমিয়ে আনবে যানজট এবং কার্বণ নিঃসরণ মাত্রা।
স্মার্ট ওয়াটার গ্রিড
ইন্টারনেট অব থিংস হলো একটি অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার, যেখানে শুধু কম্পিউটার নয় বাস্তব জীবনের সবকিছুই যুক্ত হবে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে। তেমনই একটি প্রকল্প হল স্মার্ট ওয়াটার গ্রিড। এই পদ্ধতিতে একটি সেন্সর এবং একচুয়েটরের সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রাহককে জানিয়ে দেবে স্টোরেজ ট্যাংকের পানির বিশুদ্ধতা ও প্রবাহ সম্পর্কে। পাইপের কোথাও ছিদ্র থাকলে তাও জানা যাবে এই সেন্সরের মাধ্যমে। নদীর পানির উচ্চতা এবং বন্যার সম্ভাবনার সর্ম্পকেও অবহিত করবে এই প্রযুক্তি।