বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে আসামি করতে রুল
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু এবং ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্যদের মামলার অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের ঘটনাটির কেন পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলে দুদক চেয়ারম্যান, অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল বিভূতি ভূষণ বিশ্বাস।
নোয়াখালীর বাসিন্দা হারুন অর রশিদ একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ১২ নভেম্বর রিটটি দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য ব্যাংকটিতে শেখ আবদুল হাইকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে একই পদে নিয়োগ দেওয়া হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য। তাঁর আমলে মোট সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে দুদক আবদুল হাই বাচ্চু ও ওই সময়ের ব্যাংক পর্ষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে বাদ দিয়েই ১৮টি মামলা করেছে দুদক। রাজধানীর গুলশান, মতিঝিল ও পল্টন থানায় একযোগে মামলাগুলো করা হয়। এর মধ্যে গুলশান থানায় হয়েছে আটটি মামলা। মতিঝিলে তিন ও পল্টন থানায় সাতটিসহ মোট ১০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ১৯ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে অভিন্ন আসামি রয়েছেন ৩০ জনের বেশি। ১৮টি এজাহারে মোট ৬৫৪ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের মামলাগুলোতে অর্থ আত্মসাৎ, আত্মসাতে সহযোগিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।