শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া হিসাব বছরের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দিয়েছে। এরই মধ্যে এ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ ছাড়া কোম্পানিটি তাদের বাণিজ্য বাড়াতে প্ল্যান্ট সম্প্রসারণ করবে। এ জন্য ২২ কোটি টাকা খরচ হবে। এ বিষয়ে কোম্পানির পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে।

নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭৪ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে হয় ১২ টাকা ৭৪ পয়সা। চলতি বছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২৭ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ২৭ টাকা ৫৫ পয়সা।

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া হিসাব বছরের জন্য ৪২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ১৩৪ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ৫৪ টাকা ৩৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি আয় ৪২ টাকা ৬৯ পয়সা।

২০১৪ সালের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটির পক্ষ থেকে মোট ৯০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ওই হিসাব বছরে এর কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৪৩ টাকা ৯৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ৫৪ টাকা ১৬ পয়সা।

ডিএসইতে গত এক মাসের মধ্যে এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল এক হাজার ৪৮২ টাকা ১০ পয়সা ও সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৪১ টাকা ২০ পয়সা।