বিপিওর পরবর্তী গন্তব্য বাংলাদেশ : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিশ্বের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংয়ে (বিপিও) কাজের পরবর্তী গন্তব্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বুধবার বিপিও সামিট, ২০১৫-এর পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) উদ্যোগে ৯-১০ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো বিপিও সামিট অনুষ্ঠিত হয়। সামিটের কার্যক্রম সবার সামনে তুলে ধরতে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আজ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিপিও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় একটি খাত। বাংলাদেশের বিপিও ব্যবসার প্রবৃদ্ধি বছরে শতভাগের বেশি। এর বর্তমান বাজারমূল্য ১৩০ মিলিয়ন ডলার। আমাদের লক্ষ্য এই খাত থেকে ১০০ কোটি ডলার আয়। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ২৫ হাজার লোক এই সেক্টরে যুক্ত আছে। আমরা এর সংখ্যা শিগগিরই এক লাখ দেখতে পারব বলে আশা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাক্যর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, মহাসচিব তৌহিদ হোসেন প্রমুখ।
বাক্য মহাসচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সামিটের মাধ্যমে আমরা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই খাতে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ভালো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের সক্ষমতার জায়গাগুলো দেখানোর চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশে বিপিও খাতের সাফল্যের গল্পগুলো মানুষকে জানানোর চেষ্টা করেছি। দেশের তরুণদের কাছে এই খাতকে অন্যতম একটি কর্মক্ষেত্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
তৌহিদ হোসেন জানান, দুদিনের এ সামিটে বিভিন্ন বিষয়ে ১২টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি ৭৪ জন বিশেষজ্ঞ বক্তা তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা সরাসরি সামিটে অংশ নিয়েছেন। ৬০টি দেশ থেকে আগ্রহীরা অনলাইনে সামিট-সংক্রান্ত খোঁজখবর নিয়েছেন। দুদিনে ১০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী সরাসরি সামিট পরিদর্শন করেছেন।
বাক্যর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে সামিটের আগেই ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকটিভেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখান থেকে প্রায় ১৫ হাজার বায়োডাটা সংগ্রহ করা হয়েছে। সামিট চলাকালে এর মধ্য থেকে ২৩৫ জনকে সরাসরি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইন বিপিও খাতের সবচেয়ে ভালো করেছে। এ খাতে বিশ্বের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ভারত ৮০ বিলিয়ন, ফিলিপাইন ১৬ বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কা দুই বিলিয়ন ডলার আয় করছে। বাংলাদেশও এই খাতে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিপিও সামিট, ২০১৫-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।