‘মা’ উপন্যাস বিনামূল্যে পাচ্ছেন ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডধারীরা
কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘মা’ বইটি বিনামূল্যে পাচ্ছেন ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডধারীরা। অমর একুশে বইমেলায় সময় প্রকাশনের স্টল থেকে এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ অফার ২১ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে (স্টকে থাকা সাপেক্ষে)। কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্র্যাক ব্যাংকের এ অফার পেতে ২১ ফেব্রুয়ারি সময় প্রকাশনের স্টলে প্রচুর ভিড় জমে। ফেসবুকেও এ অফার নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে।
২১ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের কাছে উপন্যাসটি তুলে দেন ব্র্যাক ব্যাংকের কমিউনিকেশন ও সার্ভিস কোয়ালিটি বিভাগের প্রধান জারা জাবীন মাহবুব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মা’ উপন্যাসটি আনিসুল হকের সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় বইগুলোর অন্যতম।
ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে গ্রাহকরা এই বই অমর একুশে বইমেলায় সময় প্রকাশনের স্টল থেকে নিতে পারবেন।
আনিসুল হকের ‘মা’ উপন্যাসের কাহিনী সংক্ষেপ :
‘আজাদ ছিল তার মায়ের একমাত্র সন্তান। আজাদের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় বালক আজাদকে নিয়ে তার মা স্বামীর গৃহ-অর্থবিত্ত ত্যাগ করে আলাদা হয়ে যান। মা বড় কষ্ট করে ছেলেকে লেখাপড়া করান। আজাদ এমএ পাস করে। এ সময় দেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। আজাদের বন্ধুরা যোগ দেয় ঢাকার আরবান গেরিলা দলে। আজাদ মাকে বলে, আমিও যুদ্ধে যাব। মা তাকে অনুমতি দেন। ছেলে যুদ্ধে যায়। ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট এক রাতে ঢাকার অনেক ক’টা মুক্তিযোদ্ধা-নিবাসে হামলা চালায় পাকিস্তানি সৈন্যরা, আরো অনেকের সঙ্গে ধরা পড়ে রুমী, বদি, আলতাফ মাহমুদ, জুয়েল ও আজাদ। আজাদের ওপরে পাকিস্তানিরা প্রচণ্ড অত্যাচার চালিয়ে কথা বের করতে পারে না। তখন তার মাকে বলা হয়, ছেলে যদি সবার নামধাম ইত্যাদি বলে দেয়, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আজাদ বলে, মা দুদিন ভাত খাই না, ভাত নিয়ে এসো। মা পরের দিন ভাত নিয়ে হাজির হন বন্দিশিবিরে, কিন্তু ছেলের দেখা আর মেলে না। আর কোনোদিনও ছেলে তাঁর ফিরে আসে নাই, এই মাও আর কোনোদিন জীবনে ভাত খান নাই। যুদ্ধের ১৪ বছর পরে মা মারা যান, নিঃস্ব, রিক্ত-বেশে। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে কবরে শায়িত করলে আকাশ থেকে ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে বৃষ্টি। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এই কাহিনীর সন্ধান পেয়ে আনিসুল হক বহুজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে, বহু দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে রচনা করেছেন অসামান্য এক উপন্যাস, জানাচ্ছেন এক অসমসাহসিকা মায়ের অবিশ্বাস্য কাহিনী। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন স্বাধীনতা থাকবে, এই অমর মাকে ততদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে হবে আমাদের।’