বাংলাদেশের অর্থ ‘হ্যাক’, একাংশ উদ্ধারের দাবি
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে ‘হ্যাক’ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থের একাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থের হ্যাক হয়ে যাওয়ার সংবাদ আজ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অভিযোগ উঠেছে, চীনভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এ অর্থ সরিয়ে নিয়েছে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায়।গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ফিলিপাইনে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ৭৬ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫৯২ কোটি টাকা।
ঠিক কবে এ অর্থ ‘হ্যাক’ তা জানায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নজরে আসার পরপরই গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরেই অর্থ উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রক্ষিত স্থিতি থেকে হ্যাকড হওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অর্থের একাংশ এরই মধ্যে আদায় করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট অঙ্কের গন্তব্য শনাক্ত করে তা ফেরত আদায়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয় রয়েছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এরই মধ্যে ফিলিপাইনের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের আদালতে মামলা দায়ের করে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলোর ফ্রিজ আদেশ আদালত থেকে সংগ্রহ করেছে।’
তবে কত টাকা ‘হ্যাক’ হয়েছে এবং কত টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থেই অর্থের পরিমাণ গোপন রাখা হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। এমনকি ফিলিপাইনের আদালত থেকেও তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি গোপন রাখার অনুরোধ জানানো হয়।’
এ এফ এম আসাদুজ্জামান আরো জানান, গত ১৫-২০ দিন ধরেই বিষয়টি সমাধানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজে লাগানো হয়েছে। এসব সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ফিলিপাইনের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কাসহ আরো কয়েকটি দেশের নাগরিক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন এ এফ এম আসাদুজ্জামান।
এ এফ এম আসাদুজ্জামান বলেন, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।