জনকল্যাণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নই ইসলামী ব্যাংকের লক্ষ্য : চেয়ারম্যান
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের কল্যাণ করাই ইসলামী ব্যাংকের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার।
আজ বুধবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ব্যাংকের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতি সম্মিলনী ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক ৩৩ বছর ধরে জনকল্যাণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে। বর্তমানে এ ব্যাংক কোটি গ্রাহকের ব্যাংক, যা বিশ্বের মোট ইসলামী ব্যাংকিং গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ। তৈরি পোশাকশিল্প ও রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির দুটি প্রধান স্তম্ভ। এ দুই খাতে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ২১ ও ২৬ শতাংশ।’
মুস্তাফা আনোয়ার আরো বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের শিল্পায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। চার হাজার শিল্প-কারখানা পরিচালিত হচ্ছে এ ব্যাংকের অর্থায়নে। ইসলামী ব্যাংকের মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেকই শিল্প খাতে। স্পিনিংশিল্পে এ ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার এক-চতুর্থাংশ এবং লৌহ ও ইস্পাতশিল্পে ২১ শতাংশ।’
নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. ইসকান্দার আলী খান বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক দেশের শীর্ষ আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যাংক, যার মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ১১ শতাংশ ও ১০ শতাংশ। এসএমই খাতে এ ব্যাংকের বিনিয়োগগ্রহীতা ছয় লাখ যার সাড়ে চার লাখই নারী উদ্যোক্তা।’ তিনি বলেন, ‘দেশের মোট এসএমই বিনিয়োগের ১৬ শতাংশই ইসলামী ব্যাংকের। আবাসন খাতের ব্যাংকটির মার্কেট শেয়ার ১২ শতাংশ, যা ২৫ লাখ লোকের আবাসন নিশ্চিত করেছে। পরিবহন খাতে ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার ১৪ শতাংশ যার সুবিধাভোগী দুই কোটি মানুষ।’
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে ১৯ হাজার গ্রামের ১০ লাখ প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। যার সুবিধাভোগী ৮০ শতাংশই নারী। বিশ্বের মোট ইসলামিক মাইক্রো ফাইন্যান্সের ৫০ শতাংশ এককভাবে পরিচালিত হচ্ছে এ ব্যাংকের মাধ্যমে।’ তিনি বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক শরিয়াহ’র পদ্ধতি অনুসরণের সঙ্গে সঙ্গে শরিয়াহ’র মাকাসিদ বা লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে। ১৯৭৪ সালে আইডিবি সনদে সাক্ষরের সূত্র ধরে বাংলাদেশ সরকার, দেশীয় উদ্যোক্তা ও আন্তর্জাতিক কিছু প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে ব্যাংকটি যাত্রা শুরু করে। আজ বিশ্বসেরা হাজার ব্যাংকের তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক মো. আবুল হোসেন, সাবেক প্রধান নির্বাহী এম আযীযুল হক, এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও এম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাংকের পাঁচটি নতুন প্রোডাক্ট ও একটি মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করা হয়। ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে এ ব্যাংক।