চিঠি পাওয়ার পরও অর্থ ছাড়তে বলে আরসিবিসি কর্তৃপক্ষ
অর্থছাড় বন্ধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার পরও অর্থছাড় দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছিল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির পঞ্চম শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
ফিলিপাইনের পত্রিকা ইনকোয়্যারের অনলাইনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক চুরি হওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড় ঠেকাতে চিঠি দেয় ফিলিপাইনের আরসিবিসিকে। কিন্তু এর পরও ওই অর্থ ছাড় দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার পরও কেন অর্থ ছাড় বন্ধ করা গেল না—এ প্রশ্নের জবাবে দেগুইতো সিনেটকে বলেন, আরসিবিসির ট্রেজারার রাউল তান তাঁকে বলেছিলেন, এটি তাঁদের ব্যাংকের কোনো সমস্যা নয়। আর ব্যাংকটির আঞ্চলিক পরিচালক (বিক্রি) ব্রিগিত্তি ক্যাপিনা অনেকটা জোর দিয়েই বলেন, অর্থ না ছাড়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, এর আগে অর্থ ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকেরই নির্দেশ ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরসিবিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাফাইয়ের পর মাকাতি নগরের জুপিটার শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক দেগুইতো অর্থছাড়ের সিদ্ধান্তে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। তাঁর শাখার মাধ্যমেই লুটের অর্থছাড়ের প্রক্রিয়া চলে। এর পর তাঁকে ব্যবস্থাপক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থের মধ্যে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার শ্রীলঙ্কায় যায়। আর বাকি আট কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনে।
ক্যাপশন : বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচার নিয়ে ফিলিপাইনের সিনেটের পঞ্চম শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার আরসিবিসি সাবেক ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ছবি : সংগৃহীত