একমি ল্যাবরেটরিজের আইপিও লটারির ড্র ১৫ মে
একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার বণ্টনে লটারির ড্র ১৫ মে সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
একমি ল্যাবরেটরিজের আইপিও শেয়ার পেতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ার ৮৫ টাকা ২০ পয়সায় (৭৫ টাকা ২০ পয়সা প্রিমিয়ামসহ) আবেদন করেছে। এ ছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও অনাবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ার কাট-অফ মূল্যের ১০ শতাংশ কমে ৭৭ টাকায় আইপিও আবেদন করেন।
গত ১১ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিও আবেদন নেওয়া হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম কমিশন সভায় একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটির পাঁচ কোটি সাধারণ শেয়ার বিক্রি হবে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য, ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর প্রতিটি কাট-অফ ৮৫ টাকা ২০ পয়সায় আবেদন নেওয়া হয়।
বাকি ৪০ শতাংশ বা দুই কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়। এই শেয়ারের কাট-অফ মূল্য ১০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ৭৭ টাকায় ছাড়া হবে।
কাট-অফ মূল্য নির্ধারণের বিডিংয়ে নির্দিষ্ট শেয়ার সংখ্যার তিন দশমিক ৯ গুণ শেয়ারের আবেদন পড়ে ৮৫ টাকা ২০ পয়সা করে।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তিনটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইপিওর খরচ খাতে ব্যয় করবে।
২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরে কোম্পানিটির নিরীক্ষিত বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা সাত পয়সা। ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয় পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানির প্রকৃত সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৩৭ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। রেজিস্টার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে আছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।