মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আর অভিযোগ
কলড্রপসহ নানা দুর্ভোগে অতিষ্ঠ গ্রাহকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) গণশুনানিতে। এ ছাড়া ইন্টারনেটে কাঙ্ক্ষিত গতি না পাওয়া, সময়ে অসময়ে এসএমএসের যন্ত্রণা আর টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। আজ মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ওই গনশুনানির আয়োজন করা হয়।
বিটিআরসি বলছে, প্রতি ছয়জনে পাঁচজনই এখন মোবাইল ফোনের গ্রাহক। সেসব গ্রাহক মোবাইল ফোনের সেবায় কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি তা জানতেই বিটিআরসি প্রথমবারের মতো আয়োজন করে এই গণশুনানির। অংশ নেওয়া ৫০০ জন গ্রাহকের অনেকেই এ সময় মোবাইল ফোনের সেবায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিটিআরসি জানিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এসব সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। আর দায়ী অপারেটরদের আনা হবে জবাবদিহিতার আওতায়।
শুনানিতে এক গ্রাহক বলেন, ‘এই যে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে, কেউ বলছে আশি পয়সা মিনিট, কিন্তু কেটে নিচ্ছে দুই টাকা মিনিট। কেউ বলছে পঁচিশ পয়সা মিনিট, কেটে নিচ্ছে দেড় টাকা মিনিট।’
অন্য এক গ্রাহক বলেন, ‘১০ টাকা লোড করলে ১২ টাকা ৩৮ পয়সা নেওয়া হচ্ছে। গ্রাহক হিসেবে কি প্রতারিত হই না?’
এসএমএসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করা হয় ওই গণশুনানিতে। এক গ্রাহক বলেন, ‘ডায়াপারের বিজ্ঞাপন দিয়ে এসএমএস আসে। আমার নম্বর কেন ওইসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কাছে যাবে?’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, সংশ্লিষ্ট অপারেটরদের কাছে এসব অভিযোগের জবাব জানবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করা হবে আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য। ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা এরই মধ্যে একটি কলসেন্টার স্থাপন করেছি। খুব শিগগিরই একে স্বয়ংক্রিয় সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরো জানান, প্রতি ছয় মাস অন্তর এখন থেকে অনুষ্ঠিত হবে এই গণশুনানি।