ক্লিকে জানা যাবে গার্মেন্ট কারখানার তথ্য
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের সব সক্রিয় কারখানাগুলোকে গোগল ম্যাপের মতো একটি ডাটাবেজে নিয়ে আসা হবে। তখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ অনলাইনে ক্লিক করে কারখানা সম্পর্কে জানতে পারবে বলে জানালেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিএমইএর হল রুমে বাংলাদেশে ডিজিটাল আরএমজি ফ্যাক্টরি ম্যাপিং বিষয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজিএমইএর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই ডাটাবেজের মাধ্যমে আমাদের দেশের পোশাক খাত সম্পর্কে সারা বিশ্বের বায়াররা পরিষ্কার ধারণা পাবেন। আমাদের সম্পর্কে সবার নতুন করে আস্থা ও সাপ্লাই চেইনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে।
‘আমরা অনেক সময় আমাদের কারখানা সম্পর্কে বায়ারদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারি না। এই পদ্ধতি চালু হলে তখন আমরা তাদের সঠিক তথ্য দিতে পারব। বায়াররা কোনো কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা, শ্রকিদের নিরাপত্তা কেমন, কাজের পরিবেশ, তাদের বয়স, সপ্তাহিক ছুটি, চিকিৎসা ভাতাসহ নানা বিষয়ে জানতে পারবেন।’
সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, আমরা অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করে কারখানার পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে কারখানায় অ্যাকর্ডের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ এবং অ্যালায়েন্সের দেওয়া ৬৩ শতাংশ কাজ শেষ করেছি।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, এই প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোকেই এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে সরকার চাইলে এসব কারখানার বাইরে রপ্তানিমুখী পোশাক খাতের অন্য কারখানাগুলোকে এই ডাটাবেজের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রহিম বি. তালুকদার, সিঅ্যান্ডএর ব্যবস্থাপক শান্তানু শিং, বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ) মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ।