ওয়ালটনের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন এক্সপো ১০-১২ আগস্ট
দেশে প্রথমবারের মতো ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সপো-২০২৩’শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শিল্প মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বিশ্বের সকল শিল্পোদ্যাক্তা ও ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন উৎপাদিত ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, প্রযুক্তিপণ্য, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস, ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টসসমূহ তুলে ধরার মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয় আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হবে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরা হল-১ এ ওয়ালটনের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশনস বিভাগ আন্তর্জাতিক এই শিল্প মেলার আয়োজন করছে। আগামী ১০ আগস্ট শুরু হয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস এন্ড টেকনোলজি এক্সপো-২০২৩’চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। মেলায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী শিল্পোদ্যাক্তা, ক্রেতা, দর্শণার্থীদের জন্য চলছে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। আগ্রহীগণ https://ats.waltonbd.com এই ওয়েব পেজে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক এই মেগাশিল্প মেলা আয়োজন প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন এক্সপো আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আমদানি বিকল্প গুণগতমানের কম্পোনেন্টস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও টেস্টিং সলিউশনস প্রদানের মাধ্যমে দেশীয় শিল্পের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী করা, দেশের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আরও সুসংহত করা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অগ্রগতিকে বেগবান করা।
গোলাম মুর্শেদ আরও জানান, এটিএস এক্সপো হবে বাংলাদেশে একক কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রথম সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা। এতে একই ছাদের নিচে সমাহার ঘটবে পরিবেশবান্বব গ্রিন প্রযুক্তির এনার্জি সেভিং সকল ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, টেস্টিং ল্যাব, ফ্যাসিলিটি ও মেশিনারিজসহ অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সলিউশন। দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এই মেলা প্রতিবছর আয়োজন করা হবে। দেশের বাইরেও এই ধরনের প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের পাশাপাশি উৎপাদিত হচ্ছে মোল্ড অ্যান্ড ডাই, ফাসেনার, পিসিবি, মাদারবোর্ড, মাস্টারব্যাচ ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস। এসব ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস প্রায় সকল প্রকার ছোট, মাঝারি ও ভারী শিল্পে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে বিভিন্ন ধাপে ব্যবহৃত হয়। ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টসের পাশাপাশি ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে গড়ে তোলা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার, নাসদাত-ইউটিএসসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব। যা কি না দেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদিত পণ্যের টেস্টিং সলিউশনসকে আরো সহজতর করবে।
মেলায় সার্ভিসেস ক্যাটাগরিতে থাকবে কন্সট্র্যাকশন সার্ভিস, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, পাওয়ার-প্রেস, রেফ্রিজারেটর ও এসএমটি (সারফেস মাউন্টিং টেকনোলজি)। প্রোডাক্ট ক্যাটাগরিতে প্রদর্শিত হবে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ফাসেনার, পিসিবি, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস, কেমিক্যাল, মাস্টারব্যাচেস, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, আইটি প্রোডাক্টসহ ইত্যাদি।
এটিএস মেলায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে থাকবে দেশের বিভিন্ন ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পখাতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত প্রধান কম্পোনেন্টস। যা কিনা এ্যাগ্রো, অটোমোবাইলস, সিমেন্ট, সিরামিকস, কেমিক্যাল, কসমেটিকস, ডিজিটাল, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্লাস, হেভি-ভেহিক্যালস অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, আইওটি, আইটি, লেদার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশনস, গার্মেন্টস, পাইকারি ও ট্রেডিং বিজনেস ইত্যাদি শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়।
শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন দেশে উৎপাদন করছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ, টিভি, এসি, কম্প্রেসর, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, ফ্যান, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, এলইডি লাইট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ অসংখ্য ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য। এসব পণ্যের আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশের পাশাপাশি পিসিবি, মাদারবোর্ড, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, নাট-বোল্ট, স্ক্রুসহ ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস উৎপাদন করছে ওয়ালটন। যার অধিকাংশই প্রায় সকল প্রকার শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। তবে বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় রপ্তানি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ওয়ালটন পণ্যসামগ্রী এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।