বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ৭ম লিডারশিপ সামিট অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে লিডারশিপ সামিটের সপ্তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (১১ নভেম্বর)। রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর অধিবেশনটির প্রতিপাদ্য ছিল—‘নেভিগেটিং দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার : ট্রান্সফরমিং অর্গানাইজেশনস ফর দ্য ফিউচার’, অর্থাৎ ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তৈরি করে তোলা।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত অধিবেশণে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, গবেষকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। তিনটি কিনোট সেশন, পাঁচটি প্যানেল ডিসকাশন ও একটি ইনসাইট সেশনে সাজানো এবারের লিডারশিপ সামিটে নেতৃত্বের জটিলতা, প্রতিকূলতা ও সমাধান, টেকসই প্রবৃদ্ধি, কর্পোরেট গভর্নেন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির সমসাময়িক নানান বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সামিটে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে থাকেন আমাদের লিডার বা শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাই আসন্ন ভবিষ্যৎকে সামনে রেখে কীভাবে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকরভাবে সাজাতে পারি, সেই বিষয়ে ভাবতে হবে। আজকের প্রতিটি আলোচনা আমাদের এই সম্পর্কিত একটি নীতিমালা প্রণয়নে সম্যক ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
সামিটের প্রথম কিনোট সেশনের বক্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. তুলসী জয়কুমার, ইকোনোমিক্স অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, সেন্টার ফর ফ্যামিলি বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ, এসপি জৈন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ।
পরবর্তীতে অন্য দুইটি কিনোট সেশনে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্ভাবনী বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী সংস্কৃতি গঠনের উপায় এবং টেকসই চর্চা নিয়ে আলোচনা করেন যথাক্রমে সুহাইল আল খারসাহ, এন্টারপ্রাইজ এজিল কোচ, সেন্ট্রাল ট্রান্সফরমেশন অফিস, ফার্মা ইন্টারন্যাশনাল এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান।
এ ছাড়াও সামিটের একমাত্র ইনসাইট সেশনটি পরিচালনা করেন ইউনাইটেড আইগাজ এলপিজি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরকুমেন্ট পোলাট।
এ ছাড়াও পাঁচটি প্যানেল ডিসকাশনে বক্তারা নেশন বিল্ডিংয়ে স্মার্ট নেতৃত্বের ভূমিকা, সৃজনশীল নেতৃত্বসহ একাধিক প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।
প্রথম কিনোট সেশনে এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এডভাইজার আনির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন সেবা খাতে ডিজিটাল ব্যবস্থা এনেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উদ্ভাবনীর সমন্বয় সাধনে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন খাতের নেতাদের সহযোগিতায় আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য চারটি স্তম্ভের বিকাশের মাধ্যমে আমাদের এই ভিশনকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
এ ছাড়াও দ্বিতীয় প্যানেল আলোচনায় বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী বলেন, ‘একজন লিডারের জন্য অপরিহার্য একটি কাজ হচ্ছে নিজের কর্মচারীদের জন্য একটি সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে ওই প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সক্ষম হয়ে উঠতে পারে।’
সপ্তম লিডারশিপ সামিটের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. আবুল কালাম আজাদ, কো-চেয়ার, স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক, ফরমার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, ভাইস চেয়ারম্যান, আইডিইএ ফাউন্ডেশন; আনির চৌধুরী, পলিসি অ্যাডভাইজার, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই); অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা; প্রেসিডেন্ট, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন; মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ফাউন্ডার এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বিল্ডকন কনসালটান্সি লিমিটেড; অধ্যাপক ইমরান রহমান ভাইস চ্যান্সেলর, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, এম. আনিস উদ দৌলা, চেয়ারপারসন, এসিআই গ্রুপ, মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন, গ্রুপ ডিরেক্টর, রহিম আফরোজ বাংলাদেশ।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রযোজনায়, সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও শেলটেকের সঞ্চালনায়, বিএসআরএম, টিম গ্রুপ ও দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় এবং এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ও ন্যামকন কনসালটান্সি লিমিটেডের সমন্বয়ে অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়। সামিটে নলেজ পার্টনার ছিল মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ, একাডেমিক পার্টনার ছিল লিডারশিপ একাডেমি; লার্নিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টনার ছিল কাজি কনসালটান্টস, টেকনোলজি পার্টনার ছিল আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড ও পিআর পার্টনার ছিল ব্যাকপেজ পিআর।