এশিয়াটিক-উইন্ডমিলের সাথে স্টার্টআপ বাংলাদেশের চুক্তি
বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে একযোগে ‘অসীম সম্ভাবনার স্মার্ট বাংলাদেশ’ ভাবনাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তোলার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৪। আগামী ২৭ থেকে ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট সম্মেলন। এই আয়োজনে স্টার্টআপ বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেড এবং উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড।
এই সামিটের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের প্রচলিত নিয়মনীতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে বৈশ্বিক বাজারে উদ্যোক্তাদের প্রবেশের সুযোগ তৈরি হবে। একই সাথে বিভিন্ন সেমিনার, স্টার্টআপ পিচিং, নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রগতিশীল স্টার্টআপ ব্যবস্থার সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করবে।
একটি যথোপযোগী এবং দীর্ঘস্থায়ী ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তুলে, একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নই হবে দুইদিন ব্যাপী এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য। স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রণজিৎ কুমারের উপস্থিতিতে এই সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলম, উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির রহমান তানিম তাদের নিজ নিজ সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে শামসুল আরেফিন তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট আমাদের দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য যে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে তা নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করে আমরা বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের অন্তহীন সম্ভাবনাগুলোকে তুলে ধরতে পারবো।”
শামসুল আরেফিন এই উদ্যোগকে বাংলাদেশের স্টার্ট—আপ এবং অ্যাডভার্টাইজিং জগতের একটি ইতিবাচক কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
সামি আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিটে এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের পার্টনারশিপকে একটি আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই প্ল্যাটফর্মটি বিভিন্ন উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, নীতি নির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞদের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। এই সামিটের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় সকলের স্থায়িত্ব এবং অন্তর্ভুক্তি দ্বারা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে।”