মাসে দুই কোটি সক্রিয় গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করলো মাইজিপি
মাসে দুই কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলক ছুঁয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় অ্যাপ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেল গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ অ্যাপ মাইজিপি। এই অর্জন দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মাইজিপি’র অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে অনন্য ও নিরবচ্ছিন্ন সব ডিজিটাল সেবা উপভোগ করছেন দেশের কোটি কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী।
অনন্য এই অর্জন উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার রাজধানীর জিপি হাউজে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইয়াসির আজমান, চিফ ডিজিটাল অফিসার সোলায়মান আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের জন্য ‘ওয়ান-স্টপ’ সল্যুশন হিসেবে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল মাইজিপি অ্যাপের; যাতে গ্রাহকরা সহজে কোম্পানিটির বিভিন্ন ধরণের সেবা উপভোগ করতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে অ্যাপটি একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে; যোগ হয়েছে নতুন নতুন সুবিধা ও উদ্ভাবনী ফিচার, যাতে ক্রমবর্ধমান গ্রাহকদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ হয়।
মাইজিপি গ্রাহকদের মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগের ধারাকে বদলে দিয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা হয়েছে সহজ ও সমৃদ্ধ, যা অ্যাপটিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে। প্রতিটি গ্রাহকের অ্যাপ অভিজ্ঞতাকে তাদের নিজস্ব প্রয়োজন ও সুবিধা উপযোগী করা এবং সহজ রিচার্জ ও পেমেন্ট সলিউশন সহ এআই-সক্ষম অফার প্রদান করে অ্যাপটি। ফলে বাজারের সেরা মিনিট ও ইন্টারনেটের আস্থার অপর নাম হয়ে উঠেছে মাইজিপি। মাইজিপি এখন দেশের সবচেয়ে বড় সেল্ফ-সার্ভিস অ্যাপ যেখান থেকে ব্যবহার-বান্ধব ইন্টারফেসের মাধ্যমে গ্রাহক তার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ও সুবিধামতো গ্রামীণফোনের ৯৯ শতাংশ সেবা এবং বিক্রয়-পরবর্তী সেবা গ্রহণ করতে পারেন। অ্যাপটির অনন্য বৈশিষ্ট্য, যেমন: অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সের রিয়েল-টাইম আপডেট, ভ্যালিডিটি, রোমিং সেবাসহ আরো অনেক কিছু অ্যাপটিকে কোটি কোটি গ্রাহকের কাছে একটি আবশ্যক টুলে পরিণত করেছে।
টেলিযোগাযোগ সেবার পাশাপাশি বিনোদন, খেলা, শিক্ষা, সহজ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা এবং জিপি-স্টার ডিসকাউন্টের মতো বিভিন্ন সেবার সহযোগে একটি সমন্বিত সেবা প্রদান করে অ্যাপটি। মাইজিপির মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে জনপ্রিয় সব খেলা উপভোগ এবং শীর্ষস্থানীয় কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলো সহজে ব্যবহারের সুযোগ পান গ্রাহকরা। এছাড়া অ্যাপটিতে বিভিন্ন লাইফস্টাইল -ভিত্তিক কনটেন্ট যেমন: সংবাদ প্ল্যাটফর্ম, জিপি’র প্রিমিয়ার ইসলামিক কনটেন্ট, নামাজের সময়সূচী, ইত্যাদি যোগ করা হয়েছে। ফলে মাইজিপি হয়ে উঠেছে দৈনন্দিন জীবনে নিত্য ব্যবহার্য এক অনুষঙ্গ।
টেলকো সুবিধার বাইরে মাইজিপির মাধ্যমে সহজেই বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক আইওটি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন গ্রামীণফোনের গ্রাহক যা ডিজিটাল জীবনধারার ভবিষ্যতকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। অ্যাপটির মাধ্যমে যানবাহন ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং অ্যাডভান্সড সেফটি মনিটরের মতো ডিভাইস কিনে গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারেন ইন্টারকানেক্টেড ইনটেলিজেন্স ও সেবা; যা গ্রাহকদের দেবে একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবন। গ্রাহকরা অ্যাপ থেকে প্রতিযোগিতামূলক আকর্ষণীয় দামে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে এই ডিভাইসগুলো কিনতে পারবেন। এসব সুবিধাই অ্যাপটিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
গ্রামীণফোনের চিফ ডিজিটাল অফিসার সোলায়মান আলম বলেন, ‘মাইজিপি অ্যাপে মাসে দুই কোটির বেশি ব্যবহারকারীর সংখ্যা আমাদের প্রতি গ্রাহকদের অবিচল আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিফলন। উদ্ভাবন, গ্রাহক-কেন্দ্রিকতা এবং গ্রাহকের বাস্তব সমস্যার সমাধানে আমাদের একনিষ্ঠতা মাইজিপিকে একটি সাধারণ সেল্ফ-সার্ভিস অ্যাপ থেকে অল-ইন-ওয়ান সল্যুশনে রূপান্তরিত করতে সক্ষম করেছে। এতে গ্রামীণফোনের সকল টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত সুবিধাসহ জীবনধারা, বিনোদন ও অন্যান্য অফার প্রদান করা হয়। ফলে অ্যাপটি হয়ে উঠেছে গ্রাহকদের অন্যতম ডিজিটাল সহযোগী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মাইজিপির মাধ্যমে এমন একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে চাই যা গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল চাহিদাগুলো মেটাবে এবং গ্রাহকদের আরো ডিজিটাল-বান্ধব ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। মাইজিপি হবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে সহজে ও দ্রুত সব কিছু করা যাবে যা অ্যাপটিকে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এর অবস্থানকে আরো দৃঢ় করবে।’
গুগল প্লেস্টোর বা আইওএস অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে মাইজিপির সুযোগ ও সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, ৮.৩০ কোটি গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সমাজের ক্ষমতায়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে গ্রামীণফোন দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যার মাধ্যমে দেশের ৯৯ শতাংশেরও অধিক মানুষ সেবা গ্রহণ করছে। এর ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘এখনই সময়’ প্রতিষ্ঠানটির কানেক্টিভিটির শক্তি ব্যবহার করে সম্ভাবনা উন্মোচনের প্রতিশ্রুতিকেই প্রতিফলিত করে। এর মাধ্যমে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবনযাত্রা আরও উন্নত করে চলেছে; একইসাথে, ভবিষ্যৎ উপযোগী ও গ্রাহক-কেন্দ্রিক প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবন করে যাচ্ছে। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-তে তালিকাভুক্ত।