এফএসআরইউর কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে সামিট কাজ করছে
এফএফআরইউর কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য সামিট ও এর আন্তর্জাতিক অংশীদারেরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মান বজায় রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি লিমিটেড নরওয়েভিত্তিক বিশ্বখ্যাত দুই মেরিটাইম প্রতিষ্ঠান ম্যাকগ্রেগর, ক্যান সিস্টেম এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শেলফ সাবসিকে নিযুক্ত করেছে যেন সামিটের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) সমুদ্রের তলদেশে থাকা ল্যান্ডিং প্যাডের ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং (ডিটিএম) প্লাগ ত্রুটিমুক্তি করে নিরাপদে মুরিং করতে পারে।
এর আগে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গভীর সমুদ্রের ডুবুরিদল কর্তৃক ত্রুটি চিহ্নিত করলেও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় প্রতিকূল আবহাওয়া ও পানির তলদেশ দৃশ্যমান না হওয়ায় মেরামত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। জাতীয় গ্রিডের সাথে এফএসআরইউ পুনসংযোগ দিতে হলে ডিটিএম প্লাগটি ল্যান্ডিং প্যাডের (সমুদ্রপৃষ্ঠে অবস্থিত) মধ্যবর্তী স্থানে পুনরায় স্থাপন করতে হবে। এজন্য অ্যাংকর হ্যান্ডেলিং টাগ (এএইচটি) কোরাল প্রস্তুত করা হলেও সেটি ডিটিএম পুনঃস্থাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ করতে পারেনি। এই ডিটিএম সরাতে আরও বেশি শক্তিশালী ও সক্ষম ক্রেন আনার জন্য সামিট ইতোমধ্যে ‘ওরিয়েন্টাল ড্রাগন’ নামে একটি ডাইভিং সাপোর্ট ভেহিকলের (ডিএসভি) সাথে চুক্তি করেছে, যেটি সিঙ্গাপুর থেকে আগামী ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) মহেশখালীতে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সমুদ্রের অবস্থা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধারণা করা হচ্ছে, সামিট চলতি মাসের শেষ দিকে ডিটিএম প্লাগটি পুনঃস্থাপন ও পুনসংযোগ দিতে পারবে এবং আগামী সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে এলএনজি শিপ-টু-শিপ (এসটিএস) ট্রান্সফার শুরু করবার জন্য প্রস্তুত হবে।
চলতি বছরের ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সামিট ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ)-এর ব্যালাস্ট ওয়াটার ট্যাংকের মেরামত শেষে সিঙ্গাপুর থেকে গত ১০ জুলাইয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীতে এসে পৌঁছায়।
এরপর ১১ জুলাই সমুদ্রের তলদেশে ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং (ডিটিএম) প্লাগ ও ল্যান্ডিং প্যাডের সঙ্গে এফএসআরইউর নোঙরকরণের প্রস্তুতির সময় আকস্মিকভাবে ডিটিএম বয়া মেসেঞ্জার লাইনে জটলা বেঁধে, মেসেঞ্জার লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি লিমিটেডের এই এফএসআরইউ যুক্ত্ররাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জির কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইজারা নিয়েছে, যারা এটির মালিক ও পরিচালনার দায়িত্বে আছে।