খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : সেমিনারে বক্তারা
ঋণের সুদহার বেড়ে ১৬ শতাংশ হয়েছে। এই সুদ নিয়ে আলোচনা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ’ শীর্ষক সেমিনারে ব্যবসায়ীরা এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
চীনসহ অনেক দেশ থেকে ব্যবসা বাংলাদেশে এনেছি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সেগুলো ধরে রাখতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৬ শতাংশ হয়েছে। এই সুদে ঋণ পরিশোধ খুবই চ্যালেঞ্জ। ঋণের সুদ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসা জরুরি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সেমিনারে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের ভালো ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে। এতে উদ্যোক্তারা চাহিদা মতো ঋণ পাচ্ছে না। সেই সাথে কাঁচামাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা শিল্পখাতে পণ্য উৎপাদনকে ব্যাহত করছে। ফলে স্থানীয় চাহিদার যোগান মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি সমন্বিত রাখা বেশ কষ্টকর হয়ে দাড়িঁয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, ১৫ শতাংশ বেশি ব্যাংক ঋণের সুদ দিয়ে পৃথিবীতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। তবে আমাদের উদ্যোক্তাদের সেটা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে কাস্টমস হাউসসমূহে দুর্নীতির কারণে ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যেটি নিরসনে সরকার ফিন্যান্সিয়াল রিফর্মস কমিটি গঠন করার পাশাপাশি অটোমেশন নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
ডাবল ডিজিটের সুদ দিয়ে ব্যবসায় মুনাফা করা অসম্ভব জানিয়ে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, আমাদের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই অর্থায়ন রোডম্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর অধিক হারে জোরারোপ করতে হবে। শুধু রেমিট্যান্স ও দাতাদের ওপর নির্ভর করলে চলবে না, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের ওপর আরো অধিক হারে গুরুত্ব দিতে হবে।