পিংক দিবস উদযাপন করল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন
ব্রেস্ট ক্যান্সার একটি মরণব্যাধী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, বাংলাদেশে প্রতিদিন ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণে প্রায় ১৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করছেন, যা বছরে প্রায় সাত হাজার নারীর জীবনহানির কারণ। সঠিক সচেতনতাই পারে ভয়াবহ এই মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে, কারণ সঠিক সময়ে চিহ্নিতকরণে এই রোগের নিরাময়ের সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অক্টোবর মাসটিকে ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করা হয়, যা ‘পিংক অক্টোবর’ হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়। মাসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও প্রতিকার নিশ্চিত করা।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা ও সনাক্তকরণে দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এর অংশ হিসেবে ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিনের উদ্যোগে গত ২৭ অক্টোবর এমজিআই-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ পিংক টি-শার্ট পরিধান করে নির্ধারিত একটি ক্যাপশন-সহ নিজেদের ছবি ফেসবুকসহ ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে শেয়ার করে দিনটি উদযাপন করে। এ বছর ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর ক্যাম্পেইন-টির মূল প্রতিপাদ্য ছিল “একটি চেক-আপ আর দেরি নয়, ব্রেস্ট ক্যান্সারে আসবে বিজয়”।
ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও প্রতিকার এর অংশ হিসেবে ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হসপিটাল-এর সহযোগিতায় পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে ফ্রি ব্রেস্ট ক্যান্সার চেক-আপ এর আয়োজন করা হয়েছে যা ইতোমধ্যে ব্যাপক সারা ফেলেছে। পাশাপাশি, ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিষয়ে সকলকে সঠিকভাবে সচেতন করতে ফ্রেশ অনন্যা সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইট লঞ্চ করেছে, যেখানে ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সকল তথ্য একসাথে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিনের এই ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতামূলক কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও নিজ নিজ কর্মস্থলে পিংক টি-শার্ট পরিধান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি শেয়ার করেন। সমাজ থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সকল “কিন্তু” দূর করতে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর বিভিন্ন কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।