কমিটি ঘোষণা ছাড়াই শেষ হলো রাবি ছাত্রলীগের হল সম্মেলন
দীর্ঘ ছয় বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হল ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সম্মেলনের উদ্বোধক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জাতীয় ও ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখলেই দেখা যায়—পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, যমুনা সেতুর রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপী এসব উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে।’
মেয়র লিটন বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ করে লাগানো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি। এরই মধ্যে দুইটি সড়কে লাগানো হয়েছে। তালাইমারি থেকে আলুপট্টি সড়কে অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি লাগানোর কাজ চলছে, যা শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।’
সম্মেলনে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রতিটি ক্যাম্পাসকে গ্রিন-ক্লিন করে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ এখন সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। এ জন্য তরুণদের তৈরি করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আইটিকেন্দ্রিক নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাবি উপাচার্যকে এ বিষয়ে পাঠ্যক্রমে কিছু অর্ন্তভুক্তির জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আজকের এই হল সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের অনেক ত্যাগী, ছাত্রবান্ধব নেতা উঠে আসবেন। তাঁরা নিজের জন্য কাজ না করে শিক্ষার্থীদের জন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য, দেশের জন্য কাজ করবেন। আমরা এমন কোনো কাজ করব না, যেন শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী কামাল, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। এ ছাড়া সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হল ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আরিফ বিন জহিরের সভাপতিত্বে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক বরজাহান আলীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ছিলেন রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু।