জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন মো. গোলাম দস্তগীর
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সই করা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (২০২২-২৩) কাজে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর। আজ শুক্রবার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও এপিএ সংক্রান্ত কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এ পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশিকা অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরিতে তিন জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় গ্রেড থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর, দশম গ্রেড থেকে ১৬তম গ্রেডের কর্মচারীদের মধ্য থেকে কমিশনের গাড়িচালক মো. দেলোয়ার হোসেন এবং ১৭তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের মধ্য থেকে অফিস সহায়ক আনোয়ারা বেগম এ পরস্কার পান।
গোলাম দস্তগীর ২০১০ সালের ১ মার্চে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কমিশনে যোগদান করেন। বর্তমানে সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ইন্সপেকশন ও মনিটরিং শাখায় কর্মরত রয়েছেন।
তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি এবং পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ থেকে এপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট (এমএসিপিএম) এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। কমিশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ), পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন ও যাচাই-বাছাই কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা কমিশন থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রত্যেক ডিসিপ্লিনে ১০০ নম্বরের বাধ্যতামূক বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস নামের দুইটি পুস্তকের কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও ইউজিসি স্বর্ণপদক প্রদান কমিটিতে দায়িত্বপালন করেছেন। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র তৈরি বিষয়ক কমিটিতে দায়িত্বপালন করেছেন তিনি।