পাবিপ্রবির উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে নিয়োগে নানা অনিয়ম এবং গণিত বিভাগের চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-আর-রশিদ সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। এ সময় একজন নিয়োগ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী উপাচার্যের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তোলেন।
অধ্যাপক হারুন-আর-রশিদ বলেন, ‘উপাচার্য অধ্যাপক এম রোস্তম আলীর মেয়াদকাল শেষের দিকে। ফলে তিনি তড়িঘড়ি করে বিভিন্ন বিভাগে প্রচুর নিয়োগ দিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিন মাস আগে গণিত বিভাগে প্রভাষকের দুটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।’
অধ্যাপক হারুন বলেন, ‘উপাচার্য নিজে এ নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন। আমাকেও বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে। পরবর্তিতে চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে আমার স্ত্রী থাকায় মৌখিকভাবে উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি আমাকে দায়িত্বে রেখেই আজ নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করেন। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন বিষয়ই অবহিত করা হয়নি।’
পাবিপ্রবির এ অধ্যাপক আরও বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হলে আমি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাই। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার কথা জানালে কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা উপাচার্যের নির্দেশে ধাক্কা মারেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে কার্যালয় থেকে বের করে দেন।’
হারুন-আর-রশিদ আরও অভিযোগ করেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে চার জন ‘সেকশন অফিসার’ নিয়োগ করা হয়েছে। সে নিয়োগ বোর্ডে উপাচার্য নিজে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থেকে কানিজ ফাতেমা নামে তাঁর এক আপন বড় ভাইয়ের মেয়েকে চাকরি দিয়েছেন। আজ গণিত বিভাগের শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়ম করার জন্যই তাঁকে (হারুন-আর-রশিদ) নিয়োগ বোর্ডে প্রবেশ করতে দেননি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত চাকরিবঞ্চিত আতিকুল ইসলাম পান্না জানান, তিনি সেকশন অফিসার পদে চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন। এরপরও উপাচার্য নিজের আপন ভাতিজিসহ পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি দিতে তাঁকে বঞ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনগতভাবে লড়ছেন।
জানতে চাইলে উপাচার্য মো. রোস্তম আলী অভিযোগ অস্বীকার করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষক হারুন-আর-রশিদের স্ত্রী চাকরিপ্রার্থী। তিনি বোর্ডে থাকতে পারেন না। নিজেই থাকতে চাননি।’ লাঞ্ছিত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোন লাঞ্ছিত-টাঞ্চিত করা হয়নি। তিনি যা বলছেন, সব মিথ্যা কথা।’
নিজে নিয়োগবোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে ভাতিজিকে চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘ভাতিজির চাকরি হইছে। তবে সে বোর্ডে আমি ছিলাম না।’