পাবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে পণ্ড হয়েছে রিজেন্ট বোর্ডসভা। অবরুদ্ধ রয়েছেন উপাচার্য এম রোস্তম আলী। নিজের ভাতিজিসহ (ভাইয়ের মেয়ে) ১০২ জন শিক্ষক ও কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে প্রথমে শুরু হয় হট্টগোল। এতে পণ্ড হয়ে যায় সভা। পরে উপাচার্যকে তাঁর কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম বলেন, ‘উপাচার্যের কক্ষে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রিজেন্ট বোর্ডের সভা শুরু হয়। পরে দুপুর ১২টা থেকে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটে। সভায় শতাধিক নিয়োগ, আপগ্রেডেশন ও শিক্ষকদের এমফিল পিএইচডি অনুমোদনের কথা ছিল।’
ড. আব্দুল আলীমের দাবি, উপচার্য নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি। তিনি তাঁর ভাতিজি ফাতেমা খাতুনসহ ১০২টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করেন। সভা চলাকালে বিতর্কিত নিয়োগ ও অনিয়ম নিয়ে রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরা প্রশ্ন উত্থাপন করেন। এ সময় উপাচার্য রোস্তম আলী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হট্টগোল শুরু হলে, সভা বাতিল ঘোষণা করেন তিনি।
জানা গেছে, বেলা ১২টার দিকে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপাচার্যের কক্ষে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন। বেলা ৪ টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য অবরুদ্ধ ছিলেন। শিক্ষকদের দাবি- শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন, বিদেশে গমন, পিএইচডি, এমফিলসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে অফিসের ফোনে ফোন দেওয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তা কেটে দেওয়া হয়।