বিশ্বসেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের একটিও নেই
বিশ্বসেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পায়নি বাংলাদেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। তবে গত বছরের মতো এবারও ৮০১ থেকে ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
বুবধার যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং-২০২৩ প্রকাশ করা হয়।
তবে এ র্যাঙ্কিংয়ে এ সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ভারতের ৯টি ও পাকিস্তানের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। কিউএস তাদের তালিকায় ৫০০-এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেনি।
এ ছাড়া ১০০১ থেকে ১২০০তম বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে দেশের আরও দুই বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
গত ১০ বছরের মতো এবারও তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। এ ছাড়া, ২০২৩ সালের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।
একাডেমিক খ্যাতি, চাকরির বাজারে সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, শিক্ষকপ্রতি গবেষণা-উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাতের ভিত্তিতে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং করে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১২ সালে কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ এর মধ্যে। ২০১৪ সালে তা পিছিয়ে ৭০১তম অবস্থানের পরে চলে যায়। ২০১৯ সালে তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আরও পেছনের দিকে চলে যায়। ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে।
এ বছর প্রতিবেশী দেশ ভারতের ৯টি প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সাইন্সের অবস্থান ১৫৫তম, যেটি গতবার ছিল ১৮৬।
ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আইআইটি বোম্বে ১৭২, আইআইটি দিল্লি ১৭৪, আইআইটি মাদ্রাস ২৫০, আইআইটি কানপুর ২৬৪, আইআইটি খড়গপুর ৩৬৯, আইআইটি গোয়াহাটি ৩৮৪, আইআইটি ইনদোর ৩৯৪তম অবস্থানে রয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাকিস্তানের রয়েছে ৩টি। সেগুলো হলো ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনইউএসটি) ৩৩৪তম, কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় ৩৬৩তম এবং পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস ৩৯০তম।