অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের মানববন্ধন
প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন-কাঠামো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য অমর্যাদাকর বলে এই কাঠামো পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি (রাবিশিস)। এই দাবিতে সমিতির পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এর আগে প্রস্তাবিত এ বেতন কাঠামোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে মন্ত্রিপরিষদ বা মুখ্য সচিব ও সিনিয়র সচিবদের বেতন স্কেল আলাদা করে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। পদায়িত সচিবদের জন্য নতুন একটি বেতন স্কেল করা হয়েছে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বেতন স্কেল সচিবদের থেকে দুইধাপ নামানো হয়েছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
এ সময় বৈষম্যমূলক বেতন কাঠামো পুনর্বিবেচনার দাবি করে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ের প্রস্তাব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি। অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা পদায়িত সচিবের সমান করা, সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা সিনিয়র সচিবের সমান করা, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অব্যাহত রাখা, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বেতন-ভাতা ও মর্যাদা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো করাসহ আরো বিষয়ের দাবি জানান তিনি।
রাবিশিসের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসা হচ্ছে। জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রধান ভূমিকা থাকলেও তার যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।’
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জালাল উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কে বি এম মাহবুবুর রহমান, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম সরকার, শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল হাসান, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার ইমামুল হক।