হলে উঠতে ছাত্রলীগের বাধা, লাঞ্ছনা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলে উঠতে এক ছাত্রকে বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় সংগঠনের কর্মী তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রকে চড় দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সময় হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওই হলের প্রাধ্যক্ষকে গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। লাঞ্ছনাকারী ছাত্রলীগকর্মী কাওসার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনের সহায়তায় আবাসিক শিক্ষার্থী না হয়েও কাওসার দীর্ঘদিন ধরে হলের ১১৪ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি ফলিত রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী লুৎফরকে ওই কক্ষ বরাদ্দ দেয় হল প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে লুৎফর নির্ধারিত কক্ষে গেলে কাওসার তাঁকে কক্ষে আসন না থাকার কথা জানান। বিষয়টি প্রাধ্যক্ষকে জানানো হলে তিনি এসে কাওসারকে আসন ছেড়ে দিতে বলেন। এ সময় প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কাওসারের বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন কাওসার।
পরে বেলা ৩টার দিকে লুৎফর ১১৪ নম্বর কক্ষে উঠতে গেলে কাওসার ও মামুন তাঁকে অশোভন ভাষায় গালাগাল করেন এবং কয়েকটি চড় মারেন। এ সময় প্রাধ্যক্ষকেও গালাগাল করা হয় এবং তাঁর কক্ষের দরজা ভাঙচুর করা হয়।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগকর্মী কাওসার চড় মারার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘সিনিয়র ভাইকে মারধর করব কেন, সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে।’
মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন জানান, হলের সিট নিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছিল। তিনি সেখানে গিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ‘মতিহার হলের ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন আমাকে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং হুমকিও দিয়েছে। এ সময় মামুন আমাকে বলে, আপনি আমাদের ছেলেদের বাদ দিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের হলে ওঠান কেন।’
প্রাধ্যক্ষ আরো বলেন, ‘লুৎফরকে মারধরের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হওয়ার পরেও তাঁকে হলে উঠতে না দেওয়া ও মারধর করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ এ বিষয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ভুক্তভোগী লুৎফর রহমানের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।