রাবিতে সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ আইন বাতিলের দাবিতে রবীন্দ্র কলাভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কপ্রদক্ষিণ করে টুকিটাকি চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের চার দফা দাবির মধ্যে আরো রয়েছে আবাসিক হলের সিট বাণিজ্য বন্ধ, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নারী নির্যাতন বন্ধ করা।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আলমগীর হোসেন সুজন বলেন, ছাত্রী হলে সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। তারা পড়াশোনার জন্য একটু দেরি করে হলে ঢুকতে গেলে বাবা-মায়ের কাছে ফোন করে জিজ্ঞেসা করা হয়, আপনার মেয়ে এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিল? বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার যেখানে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে সেখানে ছাত্রীদের তার আগেই হলে ঢুকতে হয়।
ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক যারিফ মুহিব অয়নের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মুক্তভাবে চিন্তা করবে, মুক্তভাবে চলাফেরা করবে- এটাই নিয়ম। আর এই মুক্তচিন্তা ও চর্চার মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে নতুন নতুন জ্ঞান। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তবুদ্ধি চর্চাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সব নিয়ম-কানুন।
সন্ধ্যার পর কোনো মেয়ে শিক্ষার্থী যেন বাইরে না থাকে পারে সেজন্য নিয়মিত টহল দেয় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিরাপত্তার নামে প্রশাসন এ কাজ করলেও বিপাকে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় পরিপন্থী।
বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রত্যেকটা হলে ক্ষমাতাসীন ক্যাডারদের সিট বাণিজ্য চলছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে নানা ধরনের অঘটন ঘটেই চলেছে, প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ সময় তাঁরা দাবিগুলো অবিলম্বে কার্যকর করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক ইমন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আলমগীর হোসেন সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আয়াতুল্লাহ খোমেনী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলিপ রায় প্রমুখ।