মাদ্রাসায় পাসের হার-পরীক্ষার্থী বেড়েছে, কমেছে জিপিএ ৫
চলতি বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে পাসের হারও। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী, শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান এবং কেন্দ্রের সংখ্যাও বেড়েছে এবার। তবে কমেছে জিপিএ ৫-এর সংখ্যা।
আজ সোমবার সারা দেশে একযোগে প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল। ফলাফল থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিল তিন লাখ ৮২ হাজার ২০৮ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৯ জন। এ বছর পরীক্ষার্থী বেড়েছে তিন হাজার ৬২৯ জন।
এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে তিন লাখ ৪০ হাজার ৩১১ জন শিক্ষার্থী। শতকরা পাসের হার ৮৯ দশমিক ০৪ ভাগ। যেখানে, গত বছর কৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ১১ হাজার ২৪৭ জন। পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৮০ ভাগ।
মোট পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ২৯ হাজার ৬৪ জন। পাসের হার এ বছর বেড়েছে শতকরা দুই দশমিক ২৪ ভাগ।
এ বছর এক হাজার ৭২৭টি মাদ্রাসায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭২০টি। এদিকে, মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৪৩টি। মোট কেন্দ্র বেড়েছে চারটি।
তবে, এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে গত বছরের তুলনায় জিপিএ ৫-এর সংখ্যা কমেছে। গত বছর যেখানে জিপিএ ৫ পেয়েছিল সাত হাজার ২৩১ জন, তা এই বছর কমে এসেছে এক হাজার ৯৮৭ জনে। কমেছে, পাঁচ হাজার ২৪৪ জন।
এ ছাড়া, শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুটি কমেছে। এ বছর শতভাগ ফেল করেছে ২৩টি প্রতিষ্ঠানে, যা গত বছর ছিল ২৫টি।
আজ বেলা ১১টার দিকে গণভবনে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ যে পরীক্ষাগুলোর ফল প্রকাশ হয়েছে সেগুলো হচ্ছে—অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি)। এ চারটি পরীক্ষায় এবার সারা দেশে প্রায় ৫৭ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
সাধারণত এসব পরীক্ষার ফল ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এ বছর ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন থাকায় এক সপ্তাহ আগে ফল প্রকাশ করা হলো।