ঢাবির তিন শিক্ষার্থী পেলেন নুজহাত জাহাঙ্গীর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বৃত্তি
পড়াশোনায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিনজন শিক্ষার্থীকে ‘নুজহাত জাহাঙ্গীর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড’ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক কৃতী শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তির অর্থ প্রদান করেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন—অর্থনীতি বিভাগের মো. নাহিদ ফেরদৌস পবন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তামান্না রশিদ ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাসিফ আল মোবারক। শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে ১৫ হাজার টাকা করে বৃত্তি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও নুজহাত জাহাঙ্গীর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা পরিবারের প্রতিনিধি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ড. নীলুফার বেগম, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম খান এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. ফারহানা বেগম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নুজহাত জাহাঙ্গীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে দীর্ঘদিনের সেতুবন্ধন।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মাতৃসম প্রতিষ্ঠান। মায়ের যেমন আমরা খবর নিই, ইচ্ছা পূরণ ও সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসি, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। পরিবারের সব সদস্যই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ, উন্নতি ও অগ্রযাত্রায় সব সময় অবদান রেখে আসছে।’ তিনি আরো জানান, আর সে কারণেই তিনি তাঁর অকালে মৃত্যুবরণকারী মেধাবী শিক্ষাবিদ ছেলের স্মৃতিরক্ষার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য ২৫ লাখ টাকার একটি চেক অনুষ্ঠানে উপাচার্যের হাতে তুলে দেন।
মিসেস নুজহাত জাহাঙ্গীর ১৯৪২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৬ সালের ৬ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী আবদুল হামিদের কন্যা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের সহধর্মিণী ছিলেন।